- শুভজিৎ-এর ডেথ মেটাল জ্যাম শেশন:কলকাতার মেটালহেডদের জন্য একটি পোস্ট:বাংলা সাহিত্য নিয়ে যারা একটু ঘাটাঘাটি করে,তাদের নতুন করে হাংরি আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তবুও আরেকবার মনে করিয়ে দিই ৬০ এর দশকে অল্টারনেটিভ ধর্মীয় কবিতার একটি আন্দোলন তৈরি হয়েছিল,যার প্রাণপুরুষ ছিলেন শ্রী মলয় রায়চৌধুরী। না আজকে হাংরি আন্দোলন নিয়ে কোন কথা বলবো না,আজ কথা বলব অন্য একটি বিষয় নিয়ে তাহলে মিউজিক।মেটাল মিউজিক।ক্লাস নাইনে থাকাকালীন হাংরি আন্দোলনের গল্প শুনেছিলাম স্কুলের বাংলা শিক্ষকের কাছে।তখন থেকেই খোঁজ করতাম এইসব কবিতার এবং কবিদের।শেষমেষ 'প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' কবিতার মাধ্যমে আলাপ হয় হাংরি প্রাণপুরুষ মলয়বাবুর কবিতাগুলির সাথে।কি অদ্ভুত ব্যাপার এই ৮২ বছরের তরুণ কবির কবিতা পড়তে গিয়ে জানতে পারি মানুষটা একজন মেটালহেড।হ্যাঁ প্রথমে আমিও একটু অবাক হয়েছিলাম।মেটালহেড কবি?কিন্তু পরে বুঝতে পারি তিনি অবশ্যই একজন মেটালহেড,তা শুধু মিউজিক শুনে হয়েছেন সেটা নয়।তার মধ্যে এই বিষয়টি না থাকলে হয়তো নিয়ম ভাঙার আন্দোলনের সূত্রপাত হতো না।যদিও এটা সম্পূর্ণ আমার মতামত। যাই হোক এবার আসি মূল কথায়।তার একটি কবিতা 'ডেথ মেটাল, অবন্তিকার জন্য প্রেমের কবিতা' নিয়ে আমি এবং আমার বন্ধু ও দাদা D Wylde একটি মেটাল গান তৈরি করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। অবশ্যই মলয় স্যারের ইচ্ছানুসারেই। আমার মিউজিক জীবনের একটি মাইলস্টোন হিসেবেই রয়ে যাবে এই কাজটি। কতটা লোকের মাঝে সাড়া পেলাম না পেলাম তা নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই।সেই মানুষটির কবিতা নিয়ে গান করতে পেরেছি,যে মানুষটাকে না চিনেই তার আন্দোলন নিয়ে ভেবে শিহরিত হতাম।এটা অবশ্যই আমার জীবনের সেরা কাজ হয়েই থেকে যাবে বলে আমি মনে করি। তার গুণমান যার যেমনই লাগুক না কেন এবং আমার মনে হয়,কলকাতার মেটাল মিউজিসিয়ান এবং মেটালহেড প্রত্যেকের অবশ্যই এই মানুষটিকে চেনা উচিত----------------------------------------------------------------------------------------------------
- অভি সমাদ্দার বলেছেন :
শুনলাম। একাধিক বার।
হাংরি
বৃত্ত যেন এতোদিনে সম্পূর্ণ হল। হ্যাঁ হাংরির কবিতা যদি গাইতে হয় তবে এই
ফর্মেই হবে। হাংরি শব্দের ভিতরের চিৎকৃত আত্ম, যেন ছিটকে আসছে।
এমনি
কোনো মিউজিক শুনতে হলে, হয়তো এই জঁর-এ যাবো না। কিন্তু হাংরি কবিতা আছে
বলেই এইটা আমার কাছে এক আলাদা তাৎপর্য্যে, ও উদ্দাম ধ্বনিময়তার আবেগটি,
বিটের পর বিটের জমঘটে উথলে উঠল।
যিনি
এই ফর্মে কবিতাটিকে ঢেলেছেন। তাঁর বোধটিকে সেল্যুট। হাংরি যদি গাইতে হয়
তো, এভাবেই হবে। আসলে 'হাংরি' এই শব্দটিই যথেষ্ট, সে নিজেই এইসব সঞ্চারিত
করে দেয়। আর সমস্ত কিছু উলোট পালোট হয়। হতে থাকবেও।
এ-থেকেই বোঝা যায় 'হাংরি' র ভেতরের আত্মটি এখনও সজীব। সে এখনও অনেকানেক ছারখারে কাউকে কেউকে এখনও ভিন্ন পথে চালিত করার শক্তি রাখে।
No comments:
Post a Comment