Sunday, August 26, 2018

শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর চাইবাসার প্রেমিকা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম ( বিয়ের পর বন্দ্যোপাধ্যায় )































শক্তি চট্টোপাধ্যায় প্রায় তিন বছর চাইবাসায় ছিলেন । থাকতেন সমীর রায়চৌধুরীর নিমডি টিলার চালাঘরে সমীরের সঙ্গে । সমীর যখন ট্যুরে যেতেন তখন শক্তিকে মধুটোলার সুধীর চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অতিথি হিসাবে রেখে যেতেন । শক্তি সুধীরবাবুর মেয়ে শীলার প্রেমে পড়েন এবং ঔপন্যাসিক থেকে হয়ে ওঠেন কবি । প্রতিদিন শীলার জন্য প্রেমের কবিতা লিখে শীলাকে শোনাতেন । শীলা কলেজে গেলে ফেরার পথে অপেক্ষা করতেন । শক্তির প্রেমের ফসল "হে প্রেম হৈ নৈঃশব্দ্য" । কিন্তু শীলার সঙ্গে শক্তির বিয়ে অনুমোদন করেননি সুধীর বাবু ; তার কারণ শক্তি প্রতিদিন মহুয়ার মদ খেয়ে ফিরতেন এবং বেকার ছিলেন ।

সুধীরবাবু শীলাকে শক্তির প্রভাব থেকে দূরে রাখার জন্য পাটনায় মলয় রায়চৌধুরীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন । শীলা পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করেন ।

শক্তি সন্দেহ করেছিলেন যে তাঁকে শীলার কাছ থেকে সরিয়ে দেবার ষড়যন্ত্রে সমীর ও মলয়ের হাত আছে । ফলে শক্তি হাংরি আন্দোলন ছেড়ে চলে যান । তিনি এতোই ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন যে হাংরি মামলায় মলয়ের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন । তাঁর ও শৈলেশ্বর ঘোষ ও সুভাষ ঘোষের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে আদালত মলয়কে একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল ।

No comments:

Post a Comment

হাংরি আন্দোলনের কবি দেবী রায় : নিখিল পাণ্ডে

  হাংরি আন্দোলনের কবি দেবী রায় : নিখিল পাণ্ডে প্রখ্যাত কবি, হাংরির কবি দেবী রায় ৩ অক্টোবর ২০২৩ চলে গেছেন --- "কাব্য অমৃতলোক " ফ্ল্...