আমার
বয়স তেইশ এবং আমার ক্ষুধা পায়। কিন্তু, আশেপাশে মানুষদের ক্ষুধার সাথে
নিজের ক্ষুধা পরিমাপ করে দেখেছি ; আমার ক্ষুধা তেমন আহামরি কিছুনা। বরঞ্চ
গড় ক্ষুধার চেয়ে বেশ খানিকটা কম। কম বলেই আমি আমার প্রজন্মের নাম দিয়েছি হাংরি জেনারেশন। মলয়, শৈলেশ্বর ঘোষদের করা ' হাংরি জেনারেশন- হাংরি জেনারেশন ' চিৎকারের চেয়ে এই চিৎকার অনেক বেশি প্রাকৃতিক ও এর ডালপালা প্রসারিত ; কাজেই আমাদের জেনারেশন ' হাংরি জেনারেশন' নামটার যোগ্য দাবিদার। আমি এই জেনারেশনকে হাংরি জেনারেশন বলে ডাকি।
আমার বয়স যখন ঊনিশ কিংবা একুশ ছিলো তখনো আমার ক্ষুধা পেত। কারণ, যেকোন বয়সেই মানুষের ক্ষুধা পায়। আর ক্ষুধা পেলে মানুষ তার ক্ষুধার কথা জানাতে ভালোবাসে। কিন্তু, আশেপাশে মানুষের ক্ষুধা বড় তীব্র। তােদর অত বড় হা আর মাংসকাটা দাঁত আর হামহাম করা পাকস্থলী আর ক্রমশ প্রসারিত হতে থাকা গুহ্যদ্বার সবকিছু একটা চমৎকার সার্কাস। তারা তােদর ক্ষুধা প্রচারে আর পাকস্থলী দেখাতে সবসময় সদা তৎপর! এইসব বাড়িয়ে তোলে সার্কাসের বাজারজাত গুণ। ফলে, সার্কাস চলে। ক্ষুধার্ত সার্কাস। বার্গার আর হটডগ এইসব মানুষ বসে বসে যখন দেখতে থাকে এমন কারসাজি - তখন তাদের করুণা হয় ; করুণা হয় বিপণণ প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রদের। ফলে, ক্ষুধার্ত সার্কাসের প্রতি থাকে তাদের নানা নিবেদন। নিবেদন শেষ হবার পরে আবারো ক্ষুধা পায় সবার। আবারো তৈরি হয় করুণা। এইভাবে, আমাদের জেনারেশন consumptionist হয়ে যায়। তাদের ক্ষুধা পায়।
আমারো ক্ষুধা পায়। আমার বয়স তেইশ এবং আমার ক্ষুধা পায়। কিন্তু, এইসব তীব্র ক্ষুধার্ত মানুৃষদের মনে হয় ছয়ফুট বডিবিল্ডার - আমার হাড়ের দৈর্ঘ্য যেখানে ছোট। কাজেই, কোনোরকম সুযোগ থাকেনা যে ওরা আমার কথা শুনবে। কারণ, আমি জানি কড়কড়া ভাতের ক্ষুধা আর ইলিশ মাছের ক্ষুধা ভিন্ন। সেইসাথে ভিন্ন- ভিন্ন ভিন্ন ক্ষুধা।
তিন চার বছর ধরে এই ক্ষুধার ভিন্নতার কারণে আলাদা হতে থাকে আমার ছায়া। আমি টুক করে কেটে দিই আমার নাম। হাজিরা খাতা থেকে নাম কেটে যাবার পরে আমি আমার ছায়ার দৈর্ঘ্য মাপি। বাড়েনি।
সন্ধ্যাকালে সন্ধ্যা হয় বলে হাঁটতে বের হই। এই শহরে সন্ধ্যাগুলো খুব পলকা। এক পশলা ডার্বি হবে? হবে হয়তো!
আমার বয়স তেইশ, আমার ক্ষুধা পায়। আমি আমার ক্ষুধার কথা বলতে পারিনা ক্ষুধার্ত মানুষদের কাছে। ক্ষুধার্ত মানুষরাও জানে - আমার কাছে জমা করা নাই গরম কুকুর। আমি এ পথে যাই; ওরা ও পথে। Thug রোদে পুড়তে থাকে thug আলুজন- গোবেচারা খোঁজে গোয়াল।
আমার বয়স তেইশ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে যেতে থাকে চব্বিশে এবং আমার বড় ক্ষুধা পায়। ক্ষুধা পেতে পেতে আমি একটা পায়াছাড়া টেবিলের কথা ভািব।
টেবিলের বয়স বড়জোড় দশ। তার কি পাকস্থলীর সাথে কোনো বোঝাপড়া আছে?
আমার বয়স যখন ঊনিশ কিংবা একুশ ছিলো তখনো আমার ক্ষুধা পেত। কারণ, যেকোন বয়সেই মানুষের ক্ষুধা পায়। আর ক্ষুধা পেলে মানুষ তার ক্ষুধার কথা জানাতে ভালোবাসে। কিন্তু, আশেপাশে মানুষের ক্ষুধা বড় তীব্র। তােদর অত বড় হা আর মাংসকাটা দাঁত আর হামহাম করা পাকস্থলী আর ক্রমশ প্রসারিত হতে থাকা গুহ্যদ্বার সবকিছু একটা চমৎকার সার্কাস। তারা তােদর ক্ষুধা প্রচারে আর পাকস্থলী দেখাতে সবসময় সদা তৎপর! এইসব বাড়িয়ে তোলে সার্কাসের বাজারজাত গুণ। ফলে, সার্কাস চলে। ক্ষুধার্ত সার্কাস। বার্গার আর হটডগ এইসব মানুষ বসে বসে যখন দেখতে থাকে এমন কারসাজি - তখন তাদের করুণা হয় ; করুণা হয় বিপণণ প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রদের। ফলে, ক্ষুধার্ত সার্কাসের প্রতি থাকে তাদের নানা নিবেদন। নিবেদন শেষ হবার পরে আবারো ক্ষুধা পায় সবার। আবারো তৈরি হয় করুণা। এইভাবে, আমাদের জেনারেশন consumptionist হয়ে যায়। তাদের ক্ষুধা পায়।
আমারো ক্ষুধা পায়। আমার বয়স তেইশ এবং আমার ক্ষুধা পায়। কিন্তু, এইসব তীব্র ক্ষুধার্ত মানুৃষদের মনে হয় ছয়ফুট বডিবিল্ডার - আমার হাড়ের দৈর্ঘ্য যেখানে ছোট। কাজেই, কোনোরকম সুযোগ থাকেনা যে ওরা আমার কথা শুনবে। কারণ, আমি জানি কড়কড়া ভাতের ক্ষুধা আর ইলিশ মাছের ক্ষুধা ভিন্ন। সেইসাথে ভিন্ন- ভিন্ন ভিন্ন ক্ষুধা।
তিন চার বছর ধরে এই ক্ষুধার ভিন্নতার কারণে আলাদা হতে থাকে আমার ছায়া। আমি টুক করে কেটে দিই আমার নাম। হাজিরা খাতা থেকে নাম কেটে যাবার পরে আমি আমার ছায়ার দৈর্ঘ্য মাপি। বাড়েনি।
সন্ধ্যাকালে সন্ধ্যা হয় বলে হাঁটতে বের হই। এই শহরে সন্ধ্যাগুলো খুব পলকা। এক পশলা ডার্বি হবে? হবে হয়তো!
আমার বয়স তেইশ, আমার ক্ষুধা পায়। আমি আমার ক্ষুধার কথা বলতে পারিনা ক্ষুধার্ত মানুষদের কাছে। ক্ষুধার্ত মানুষরাও জানে - আমার কাছে জমা করা নাই গরম কুকুর। আমি এ পথে যাই; ওরা ও পথে। Thug রোদে পুড়তে থাকে thug আলুজন- গোবেচারা খোঁজে গোয়াল।
আমার বয়স তেইশ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে যেতে থাকে চব্বিশে এবং আমার বড় ক্ষুধা পায়। ক্ষুধা পেতে পেতে আমি একটা পায়াছাড়া টেবিলের কথা ভািব।
টেবিলের বয়স বড়জোড় দশ। তার কি পাকস্থলীর সাথে কোনো বোঝাপড়া আছে?
No comments:
Post a Comment