বাংলাভাষী সাহিত্য-অনুরাগীদের মতে,বাংলায় সাহিত্য আন্দোলন
বলতে একটি আন্দোলনের কথাই বলা যায় এবং সেটির নাম
-----হাংরি জেনারেশন আন্দোলন।
বলাবাহুল্য আমিও মোটামুটি এই মতামতটির
পক্ষেই থেকেছি!
বলতে একটি আন্দোলনের কথাই বলা যায় এবং সেটির নাম
-----হাংরি জেনারেশন আন্দোলন।
বলাবাহুল্য আমিও মোটামুটি এই মতামতটির
পক্ষেই থেকেছি!
তো এই আন্দোলনটি ঘিরে বহু কথা বহু আলোচনা যে হয়নি,তেমনও নয়।তবে অদ্ভুতভাবে
এই আন্দোলনটির কথা উঠলেই,প্রথমে বুঝে নিতে হয়,আলোচক কোন পক্ষের 'হাংরি'!মলয় রায়চৌধুরী,শক্তি চট্টোপাধ্যায়,সমীর রায়চৌধুরী,সুবিমল বসাক, ত্রিদিব মিত্র, দেবী রায়দের 'হাংরি' নাকি শৈলেশ্বর ঘোষ,সুভাষ ঘোষ, বাসুদেব দাশগুপ্ত,প্রদীপ চৌধুরী,সুবো আচার্যদের 'হাংরি'?
মজার ব্যাপার,গতবছরেই কলকাতার দুই দুটো প্রকাশনা থেকে দুই দুটো 'হাংরি সংকলন' প্রকাশিত হয়েছে।এবং দুটি প্রকাশনাই মূলত মেইনস্ট্রিম সাহিত্যের ব্যবসাই করে থাকে।'হাংরি' ব্যবসা কোনটির বেশি,জানা না গেলেও সংকলন গ্রন্থ দুটি নিয়ে অনেক মজার গল্প বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।যাইহোক! সংকলন গ্রন্থ দুটির একটিতে যেমন মলয়-সমীর-শক্তি-দেবী রায়েদের কোনো লেখালেখি বা লেখালেখির উল্লেখ নেই,তেমনি অন্য সংকলনটিতেও শৈলেশ্বর ঘোষেরা অস্বস্তিকরভাবে অনুপস্থিত!শৈলেশ্বর ঘোষের কথা আলাদাভাবে বলার কারণ,আমি মনে করি,হাংরির কোনো সংকলন থেকেই শৈলেশ্বর ঘোষ,মলয় রায়চৌধুরী এবং ফালগুনী রায়কে বাদ দেওয়া যায়না!
একটি আন্দোলন গড়ে ওঠার পর,সে আন্দোলনের গতিপথ কেমন হবে,তা ঘিরে বিতর্ক থাকটাই স্বাভাবিক।মতভেদ থাকাটাও কখনো কখনো জরুরী।কিন্তু 'দুই প্রকারের হাংরি'-র দ্বন্দ্ব প্রথম থেকেই কখনো কখনো একেবারেই ছেলেমানুষি ঝগড়ার পর্যায়ে চলে গেছে।এই ঝগড়ার ফসল তুলেছে এবং এখনো তুলছে তথাকথিত কিছু নিম্নমেধার লোভী কবি-যশোপ্রার্থী এবং সম্পাদক!
হাংরি আন্দোলন এবং সে আন্দোলনের ভাঙন প্রসঙ্গে মলয় রায়চৌধুরীর বেশ কিছু লেখালেখি আছে।'হাংরি কিংবদন্তী' নামে একটি বইও আছে।শৈলেশ্বর ঘোষও লিখেছেন, 'হাংরি জেনারেশন আন্দোলন'।
বলাবাহুল্য, কলকাতায় দুইপ্রকারের হাংরিরই কিছু কিছু অনুগত 'কর্মী' রয়েছেন।এবং এই কর্মীদের অধিকাংশই একশো শতাংশ 'ডেডিকেটেড'!শৈলেশ্বরপন্থীদের সঙ্গে মলয় রায়চৌধুরী অথবা সমীর রায়চৌধুরীর লেখালেখি প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে,তাদের একটি অংশের নির্ভর করতে হয়,শৈলেশ্বর ঘোষ কী কী বলে বা লিখে গেছেন, তার উপর!অন্যদিকে মলয় অনুরাগীদের একটি বৃহৎ অংশ তো শৈলেশ্বরের মতো উল্লেখযোগ্য কবির একটি কবিতা না পড়েও তাঁকে খারিজ করে বসে থাকেন!
হাংরি আন্দোলনের বিভাজন নিয়ে মলয় রায়চৌধুরী একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, সমীর রায়চৌধুরীর মতে এই বিভাজনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল শঙ্খ ঘোষের।
শৈলেশ্বরদার শঙ্খ-প্রীতি ছিল বরাবরের।মাঝরাতে শঙ্খের সঙ্গে টেলিফোন-আলাপ,পরামর্শ এবং আদানপ্রদানের রাজনীতি ছিল।তবু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করিনা,হাংরি বিভাজনের সময় কবি শঙ্খ ঘোষ এতখানি 'পাওয়ারফুল' ছিলেন!শঙ্খ ঘোষ শৈলেশ্বর ঘোষ সম্পর্কে প্রশস্তিসূচক কিছু বললে বা লিখলেই হাংরি আন্দোলনের বিভাজনের বীজ রোপন করা হয়ে যাবে,ব্যাপারটি এতটাও সরল নয়!
এখানে আরো একটি তথ্য জানিয়ে রাখার ইচ্ছে হচ্ছে।কলকাতা থেকে একটি লিটলম্যাগাজিন শৈলেশ্বর ঘোষকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা করে।তো শৈলেশ্বরের ইচ্ছে অনুযায়ী কবি শঙ্খ ঘোষ এবং অমিতাভ দাশগুপ্তকে সংখ্যাটিতে লিখতে বলা হলে,দুজনেই 'ব্যস্ততার' কারণে এড়িয়ে যান!
*************************************************** যে কারণে শৈলেশ্বর ঘোষের রচনা 'প্রতিভাস'-এর সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি :
কবি শৈলেশ্বর ঘোষের মেয়ে শ্রীমতি জীজা ঘোষ-এর কপিরাইট সম্পর্কিত হুমকি :
২৬.১১.২০১৩
প্রতি : প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদক : চন্দ্রগ্রহণ
৭ বরদাকান্ত রোড
দমদম, কলকাতা ৭০০ ০৩০
মহাশয়,
আমি, শ্রীমতি জীজা ঘোষ, স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ-এর কন্যা, আপনার সম্পাদিত পত্রিকা 'চন্দ্রগ্রহণ'-এর 'হাংরি আন্দোলন সংখ্যা' ( শারদীয় ১৪২০, নবমবর্ষ, সংখ্যা ১৭, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৩ )-য়, আমার বাবার কয়েকটি কবিতা, প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই । ইতিমধ্যে ফোনে আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । তখনও যা জানিয়েছিলাম তা আবারও জানাই -- আপনি আমার বাবার মৃত্যুর পর আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া বাবার রচনাগুলি আপনার পত্রিকা 'চন্দ্রগ্রহণ'-এ ছেপে ঘোরতর অন্যায় করেছেন ।
আপনাকে আগেও জানিয়েছি, আবারও জানাচ্ছি যে, আমার বাবা স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষের কোনো কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি আর কোনো দিনও কোনো সংকলনে ছাপবেন না বা ছাপাবেন না । আমি আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে জেনেছি যে, কোনো কবি বা লেখকের মৃত্যুর পর ৫০ বছর পর সেটা জাতীয় সম্পত্তি হয় । তখন তাঁর রচনা যে কেউ ছাপতে পারে ।
আমি জানি, এ কাজ আপনি শ্রীমলয় রায়চৌধুরী ও শ্রীসমীর রায়চৌধুরীর দ্বারা নির্দেশিত হয়েই করেছেন । আমার বাবাকে জীবিতথাকাকালীন যাঁরা কুৎসিতভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আক্রমণ করেছেন , তাঁদের সঙ্গে আমার বাবার কোনো সংকলনে কোনো লেখা থাক, এটা আমি বা আমার পরিবারের কেউ চাই না । আমার বাবা স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ-এর এটাই ইচ্ছা ছিল । স্বাভাবিকভাবেই আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আমার স্বর্গীয় বাবার ইচ্ছার সন্মান জানাতে চাই ।
আপনাকে আবারও বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া আমার বাবার কোনো রচনা -- কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি আর ছাপবেন না বা ছাপাবেন না । এর পরও যদি না শোনেন তবে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করতে বাধ্য হব ।
বিনীত নিবেদন
জীজা ঘোষ
মজার ব্যাপার,গতবছরেই কলকাতার দুই দুটো প্রকাশনা থেকে দুই দুটো 'হাংরি সংকলন' প্রকাশিত হয়েছে।এবং দুটি প্রকাশনাই মূলত মেইনস্ট্রিম সাহিত্যের ব্যবসাই করে থাকে।'হাংরি' ব্যবসা কোনটির বেশি,জানা না গেলেও সংকলন গ্রন্থ দুটি নিয়ে অনেক মজার গল্প বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।যাইহোক! সংকলন গ্রন্থ দুটির একটিতে যেমন মলয়-সমীর-শক্তি-দেবী রায়েদের কোনো লেখালেখি বা লেখালেখির উল্লেখ নেই,তেমনি অন্য সংকলনটিতেও শৈলেশ্বর ঘোষেরা অস্বস্তিকরভাবে অনুপস্থিত!শৈলেশ্বর ঘোষের কথা আলাদাভাবে বলার কারণ,আমি মনে করি,হাংরির কোনো সংকলন থেকেই শৈলেশ্বর ঘোষ,মলয় রায়চৌধুরী এবং ফালগুনী রায়কে বাদ দেওয়া যায়না!
একটি আন্দোলন গড়ে ওঠার পর,সে আন্দোলনের গতিপথ কেমন হবে,তা ঘিরে বিতর্ক থাকটাই স্বাভাবিক।মতভেদ থাকাটাও কখনো কখনো জরুরী।কিন্তু 'দুই প্রকারের হাংরি'-র দ্বন্দ্ব প্রথম থেকেই কখনো কখনো একেবারেই ছেলেমানুষি ঝগড়ার পর্যায়ে চলে গেছে।এই ঝগড়ার ফসল তুলেছে এবং এখনো তুলছে তথাকথিত কিছু নিম্নমেধার লোভী কবি-যশোপ্রার্থী এবং সম্পাদক!
হাংরি আন্দোলন এবং সে আন্দোলনের ভাঙন প্রসঙ্গে মলয় রায়চৌধুরীর বেশ কিছু লেখালেখি আছে।'হাংরি কিংবদন্তী' নামে একটি বইও আছে।শৈলেশ্বর ঘোষও লিখেছেন, 'হাংরি জেনারেশন আন্দোলন'।
বলাবাহুল্য, কলকাতায় দুইপ্রকারের হাংরিরই কিছু কিছু অনুগত 'কর্মী' রয়েছেন।এবং এই কর্মীদের অধিকাংশই একশো শতাংশ 'ডেডিকেটেড'!শৈলেশ্বরপন্থীদের সঙ্গে মলয় রায়চৌধুরী অথবা সমীর রায়চৌধুরীর লেখালেখি প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে,তাদের একটি অংশের নির্ভর করতে হয়,শৈলেশ্বর ঘোষ কী কী বলে বা লিখে গেছেন, তার উপর!অন্যদিকে মলয় অনুরাগীদের একটি বৃহৎ অংশ তো শৈলেশ্বরের মতো উল্লেখযোগ্য কবির একটি কবিতা না পড়েও তাঁকে খারিজ করে বসে থাকেন!
হাংরি আন্দোলনের বিভাজন নিয়ে মলয় রায়চৌধুরী একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, সমীর রায়চৌধুরীর মতে এই বিভাজনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল শঙ্খ ঘোষের।
শৈলেশ্বরদার শঙ্খ-প্রীতি ছিল বরাবরের।মাঝরাতে শঙ্খের সঙ্গে টেলিফোন-আলাপ,পরামর্শ এবং আদানপ্রদানের রাজনীতি ছিল।তবু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করিনা,হাংরি বিভাজনের সময় কবি শঙ্খ ঘোষ এতখানি 'পাওয়ারফুল' ছিলেন!শঙ্খ ঘোষ শৈলেশ্বর ঘোষ সম্পর্কে প্রশস্তিসূচক কিছু বললে বা লিখলেই হাংরি আন্দোলনের বিভাজনের বীজ রোপন করা হয়ে যাবে,ব্যাপারটি এতটাও সরল নয়!
এখানে আরো একটি তথ্য জানিয়ে রাখার ইচ্ছে হচ্ছে।কলকাতা থেকে একটি লিটলম্যাগাজিন শৈলেশ্বর ঘোষকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা করে।তো শৈলেশ্বরের ইচ্ছে অনুযায়ী কবি শঙ্খ ঘোষ এবং অমিতাভ দাশগুপ্তকে সংখ্যাটিতে লিখতে বলা হলে,দুজনেই 'ব্যস্ততার' কারণে এড়িয়ে যান!
*************************************************** যে কারণে শৈলেশ্বর ঘোষের রচনা 'প্রতিভাস'-এর সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি :
কবি শৈলেশ্বর ঘোষের মেয়ে শ্রীমতি জীজা ঘোষ-এর কপিরাইট সম্পর্কিত হুমকি :
২৬.১১.২০১৩
প্রতি : প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদক : চন্দ্রগ্রহণ
৭ বরদাকান্ত রোড
দমদম, কলকাতা ৭০০ ০৩০
মহাশয়,
আমি, শ্রীমতি জীজা ঘোষ, স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ-এর কন্যা, আপনার সম্পাদিত পত্রিকা 'চন্দ্রগ্রহণ'-এর 'হাংরি আন্দোলন সংখ্যা' ( শারদীয় ১৪২০, নবমবর্ষ, সংখ্যা ১৭, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৩ )-য়, আমার বাবার কয়েকটি কবিতা, প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই । ইতিমধ্যে ফোনে আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । তখনও যা জানিয়েছিলাম তা আবারও জানাই -- আপনি আমার বাবার মৃত্যুর পর আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া বাবার রচনাগুলি আপনার পত্রিকা 'চন্দ্রগ্রহণ'-এ ছেপে ঘোরতর অন্যায় করেছেন ।
আপনাকে আগেও জানিয়েছি, আবারও জানাচ্ছি যে, আমার বাবা স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষের কোনো কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি আর কোনো দিনও কোনো সংকলনে ছাপবেন না বা ছাপাবেন না । আমি আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে জেনেছি যে, কোনো কবি বা লেখকের মৃত্যুর পর ৫০ বছর পর সেটা জাতীয় সম্পত্তি হয় । তখন তাঁর রচনা যে কেউ ছাপতে পারে ।
আমি জানি, এ কাজ আপনি শ্রীমলয় রায়চৌধুরী ও শ্রীসমীর রায়চৌধুরীর দ্বারা নির্দেশিত হয়েই করেছেন । আমার বাবাকে জীবিতথাকাকালীন যাঁরা কুৎসিতভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আক্রমণ করেছেন , তাঁদের সঙ্গে আমার বাবার কোনো সংকলনে কোনো লেখা থাক, এটা আমি বা আমার পরিবারের কেউ চাই না । আমার বাবা স্বর্গীয় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ-এর এটাই ইচ্ছা ছিল । স্বাভাবিকভাবেই আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আমার স্বর্গীয় বাবার ইচ্ছার সন্মান জানাতে চাই ।
আপনাকে আবারও বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে আমার বা আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া আমার বাবার কোনো রচনা -- কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি আর ছাপবেন না বা ছাপাবেন না । এর পরও যদি না শোনেন তবে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করতে বাধ্য হব ।
বিনীত নিবেদন
জীজা ঘোষ
No comments:
Post a Comment