Saturday, August 4, 2018

শুভঙ্কর দাশ : সুভাষ ঘোষের স্মৃতিচারণ

পরের দিন সকাল নটা বেজেছে কি বাজেনি দরজার কড়া নড়ে উঠল কড় কড়। কেরে এত সক্কাল সক্কাল ? দরজা খুলে দেখি সুভাষদা। আমাদের ডিয়ার সুভাষ ঘোষ। ‘কিরে ডাক্তারের কাছে গেছিলি? জানি তো যাবি না। তাই দেখতে এলাম তোকে’। লোকটা আমাকে দেখতে এত সকালে চলে এসেছে চন্দন নগর থেকে। এই ছিল আমাদের সুভাষ ঘোষ যাকে আজও মিস করি আমি। হাংরি লেখকদের ভেতর এ কারণেই তিনি ছিলেন আমার সব থেকে প্রিয় একজন মানুষ। সুভাষদার কথা বলা পুরো হয়না যদিনা কনকদির কথা বলি। কনক ঘোষ। সুভাষদার স্ত্রী। বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলেই সুভাষদা বলতেন কনক ঘোষ সুভাষ ঘোষ, বাউরি পাড়া, চন্দননগর । কত কত বইমেলাতে টিফিন বাক্স ভর্তি করে লুচি আর মাখা মাখা স্বর্গীয় সেই ডিমের তরকারি আমাদের সবার জন্য আনতেন কনকদি। আর আমরা লোভার মত বসে থাকতাম সেই টিফিনের আশায়। বই ছেপে তখন আমরা ফতুর, মেলাতে অত দাম দিয়ে খাবার কেনার পয়সা আমাদের হাতে থাকত না। যা বিক্রি হত তা দিয়ে প্রেসের ধার মেটান হত। সেই অভ্যেস এখনও রয়ে গেছে। পয়সা থাকলেও পারতপক্ষে মেলার মাঠের খাওয়ার খেতে ইচ্ছে করে না। সুভাষদা নেই। কনকদিও আর আসেন না মেলাতে। আমি এখন নিজেই বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাই আর ভাবি এই ট্র্যাডিসান যদি তরুণদের ভেতরেও ছড়িয়ে দেওয়া যায়। যদি তারা বোঝে এই ভালোবাসার ভাইরাসের কথা। স্মার্টনেসের অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে তারা যদি পুরোন জং ধরা ভালোবাসাকে ভালোবেসে ফেলে এই কর্পোরেট কালচারে।

No comments:

Post a Comment

হাংরি আন্দোলনের কবি দেবী রায় : নিখিল পাণ্ডে

  হাংরি আন্দোলনের কবি দেবী রায় : নিখিল পাণ্ডে প্রখ্যাত কবি, হাংরির কবি দেবী রায় ৩ অক্টোবর ২০২৩ চলে গেছেন --- "কাব্য অমৃতলোক " ফ্ল্...