‘ছন্দে
গদ্য লেখার খেলাকে কবিতা নাম দিয়ে চালাবার খেলা এবার শেষ হওয়া প্রয়োজন ।
টেবলল্যাম্প ও সিগারেট জ্বালিয়ে, সেরিব্রাল কর্টেক্সে কলম ডুবিয়ে, কবিতা
বানাবার কাল শেষ হয়ে গেছে । এখন কবিতা রচিত হয় অরগ্যাজমের মতো
স্বতঃস্ফূর্তিতে । সেহেতু ত্রশ্নূ বলাৎকারের পরমুহূর্তে কিংবা বিষ খেয়ে
অথবা জলে ডুবে 'সচেতনভাবে বিহ্বল' হলেই, এখন কবিতা সৃষ্টি সম্ভব । শিল্পের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কবিতা সৃষ্টির প্রথম শর্ত । শখ করে, ভেবে-ভেবে, ছন্দে
গদ্য লেখা হয়তো সম্ভব, কিন্তূ কবিতা রচনা তেমন করে কোনো
দিনই সম্ভব নয় । অর্থব্যঞ্জনাঘন হোক অথবা ধ্বনিপারম্পর্ষে শ্রুতিমধুর,
বিক্ষুব্ধ প্রবল চঞ্চল অন্তরাত্মার ও বহিরাত্মার ক্ষুধা নিবৃত্তিরশক্তি না
থাকলে, কবিতা সতীর মতো চরিত্রহীনা, প্রিয়তমার মতো যোনিহীনা, ঈশ্বরীর মতৌ
অনুন্মেষিণী হয়ে যেতে পারে ।’’
- এটি কবিতা বিষয়ক প্রথম বাংলা ইশতাহারের শেষাংশ।
- এটি কবিতা বিষয়ক প্রথম বাংলা ইশতাহারের শেষাংশ।
১৯৬১ সালের নভেম্বরে
পাটনা শহর থেকে একটি ইশতাহার প্রকাশের মাধ্যমে হাংরি আন্দোলনের সূত্রপাত
করেছিলেন সমীর রায়চৌধুরী, মলয় রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং
হারাধন ধাড়া ওরফে দেবী রায়।
সিনেমায় হাংরি আন্দোলন
মেইন স্ট্রিম বাংলা ফিল্মে ইতোপূর্বে হাংরি আন্দোলন নিয়ে কোনও কাজ হয়নি। চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবিতে গৌতম ঘোষকে (সনামধন্য চিত্রপরিচালক) একজন হাংরি আন্দোলনকারী কবির ভূমিকায় আভিনয় করান। ২০১১ সালে হাংরি আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই ফিল্মটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
হাংরি আন্দোলনের লেখকগণ। ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে: শৈলেশ্বর ঘোষ, মলয় রায়চৌধুরী, সুভাষ ঘোষ বাসুদেব দাশগুপ্ত, ডেভিড গার্সিয়া এবং সুবিমল বসাক-
সিনেমায় হাংরি আন্দোলন
মেইন স্ট্রিম বাংলা ফিল্মে ইতোপূর্বে হাংরি আন্দোলন নিয়ে কোনও কাজ হয়নি। চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবিতে গৌতম ঘোষকে (সনামধন্য চিত্রপরিচালক) একজন হাংরি আন্দোলনকারী কবির ভূমিকায় আভিনয় করান। ২০১১ সালে হাংরি আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই ফিল্মটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
হাংরি আন্দোলনের লেখকগণ। ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে: শৈলেশ্বর ঘোষ, মলয় রায়চৌধুরী, সুভাষ ঘোষ বাসুদেব দাশগুপ্ত, ডেভিড গার্সিয়া এবং সুবিমল বসাক-
No comments:
Post a Comment