"হাংরি জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলন" ও মলয় রায়চৌধুরী"
মলয় রায়চৌধুরী-র জন্ম পাটনায়, ডিহি কলকাতা-সুতানটি-গোবিন্দপুরের জমিদার সাবর্ণ চৌধুরীর
বংশে | পিতা রণজিত এবং মাতা অমিতা |
পিতামহ লক্ষ্মীনারায়ণ অবিভক্ত ভারতের লাহোরে গিয়ে, লাহোর মিউজিয়ামের কিউরেটর জন লকউড
কিপলিং সাহেবের কাছে ফোটোগ্রাফি এবং পেইন্টিং শিখেছিলেন | এই জন লকউড কিপলিং সাহেব ছিলেন
বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক রুডইয়ার্ড কিপলিং এর পিতা!
লক্ষ্মীনারায়ণের প্রধাণ কাজই ছিল রাজা মহারাজাদের ছবি আঁকা | সেই সুত্রে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর
পরিবারকেও এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে হতো | পিতার সাথে কাজ করতে করতে তাঁর
ছেলেরাও ছবি আঁকা এবং ফোটোগ্রাফিতে দক্ষ হয়ে ওঠেন | পাটনায় এসে দারভাঙ্গা মহারাজের ছবি
আঁকার সময় লক্ষ্মীনারায়ণের অকস্মাৎ মৃত্যু হয় | কবির পিতা রণজিত রায়চৌধুরী পাটনায় একটি
ফোটোগ্রাফি স্টুডিও খুলে সেখানেই বসবাস শুরু করেন | জ্যাঠামশায় প্রমোদ, পাটনা মিউজিয়ামের ছবি ও
ভাস্কর্যের তদারকির কাজে যোগ দেন | পাটনা মিউজিয়ামের অলিন্দে তাঁদের বেড়ে ওঠার সুবাদে বিশ্বের
ইতিহাসের নানান দিকের গভীর ছায়া তাঁদের জীবনকে প্রভাবিত করে যা পরবর্তীতে তাঁদের "হাংরী
জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলন"-এ উদ্বুদ্ধ করে |
মলয়ের মাতামহ কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় রয়াল ম্যালেরিয়া কমিশন (১৮৯৯)-এর সদস্য হয়েছিলেন
এবং একজন ফিল্ড ইনভেসটিগেটর হয়ে নেবেলজয়ী বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস (১৯০২)-এর সহকারী হিসেবে কাজ
করেছিলেন |
এ হেন ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী মলয়, ১৯৬০ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকনমিকস নিয়ে স্নাতকোত্তর
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন | তিনি কর্মসূত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক, এগ্রিকালচার রিফাইনানস ডেভেলাপমেন্ট
কর্পোরেশন, লাখনও, হয়ে যোগ দেন ন্যাশানাল ব্যাংক ফর এগ্রিকালচার এণ্ড রুরাল ডেভেলাপমেন্ট NABARD
-এ এবং এই সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হয়ে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে |
শুধুমাত্র কবিতা, নানা বিষয়ে মতের মিল না হওয়া ও সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তির স্পৃহা তাঁকে তাঁর পি.
এইচ.ডি অসমাপ্ত রেখেই কলকাতায় চলে আসতে বাধ্য করে | কলকাতায় এসে তাঁর প্রধাণ কাজ হয় "হাংরি
জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলনের (১৯৬১ ~ ১৯৬৫)" সূচনা ও নেতৃত্ব প্রদান করা | মলয়
রায়চৌধুরীকে আমরা এই বিখ্যাত সাহিত্য আন্দোলনের জনক বা পথিকৃৎ বললে অত্যুক্তি করা হবে না |
কবির সাথে এই আন্দোলনের শুরুতে ছিলেন কবির দাদা সমীর রায়চৌধুরী, কবি দেবী রায় এবং কবি শক্তি
চট্টোপাধ্যায় |
হাংরি আন্দোলন সম্বন্ধে কবির লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"হাংরি জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলন" সম্বন্ধে বিশদভাবে জানতে এখানে ক্লিক করুন |
এই নব ধারার কবিতা আন্দোলনের জন্য মলয়ের চাকরি যায় | বন্ধুমহল ও আত্মীয় পরিজনের বিরাগভাজন
হতে হয় এবং তত্কালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেনের রাজত্যকালে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র এবং অশ্লীল সাহিত্য রচনা করার অভিযোগে" গ্রেপ্তার বরণ করতে হয় | এই আন্দোলনের সেখানেই
ইতি টানতে হয় | এ ছাড়া নানান গনমাধ্যমের অবিরত কুত্সা-বর্ষন ইত্যাদি সব মিলিয়ে কবির জীবন অতীষ্ঠ
হয়ে ওঠে এবং ১৯৬৭ সাল নাগাদ তিনি লেখা বন্ধ করে দেন | মাতা অমিতা দেবীর জীবনাবসানের পর
১৯৮৩ সালে তিনি আবার লেখা শুরু করেন এবং অচিরেই বাংলা কবিতার জগতে প্রথম সারিতে উঠে
আসেন |
তাঁর রচনা সম্ভার বিশাল | এ যাবৎ রচিত কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, সামাজিক বাদানুবাদপূর্ণ
প্রবন্ধ, অনুবাদ সাহিত্য মিলিয়ে তিনি চল্লিশটিরও বেশী গ্রন্থ রচনা করেছেন | নোবেল জয়ী মেক্সিকান
সাহিত্যিক অক্টাভিও পাজ, মার্কিন কবি আলেন জিনসবার্গ, নিকারাগুয়ার কবি এরনেস্টো কার্ডেনাল তাঁর
লেখায় আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ করেছিলেন | তাঁর একটি আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধ, মার্কিন প্রকাশক "Gale
Group Inc., 27500 Drake Road, Farmington Hills, MI 483313535, USA" এর দ্বারা প্রকাশিত "Contemporary
Authors Autobiography Series, Volume#14 [revised in Volume#215]" সংকলনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে |
তাঁর রচনার উপর প্রচুর এম.ফিল. এবং পি.এইচ.ডি. গবেষণার কাজ করা হয়েছে |
তিনিই সম্ভবত একমাত্র সাহিত্যিক যিনি ২০০৪ সালে ভারত সরকারের দেওয়া "সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার"
গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন |
তাঁর কাব্য-গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে "শয়তানের মুখ" (১৯৬৩), দীর্ঘ কবিতা "অমিমাংসিত" (১৯৬৫), ইংরেজী দীর্ঘ
কবিতা "Stark Electric Jesus" (1966), দীর্ঘ কবিতা "জখম" (১৯৬৬), "কবিতা সংকলন" (১৯৮৬), "মেধার
বাতানুকুল ঘুঙুর (১৯৮৬)", কবিতা "হাততালি" (১৯৮৯), "Selected Poems" (1989), "চিত্কার সমগ্র" (১৯৯৫),
"ছত্রখান" (১৯৯৫), "যা লাগবে বলবেন" (১৯৯৬), "Awe" (1998), "আত্মধ্বংসের সহস্রাব্দ" (২০০০), "কৌণপের
লুচিমাংস" (২০০৩), "কবিতা ২০০৪-১৯৬১" (২০০৫) প্রভৃতি |
হাংরি আন্দোলন নিয়ে আগ্রহী পাঠকের জন্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে "হাংরি আন্দোলনের কাব্যদর্শন"- দেবী রায়
(১৯৬৫), "Hungryalist Manifestoes/ ইস্তাহার সংকলন" (১৯৮৬), "হাংরি কিংবদন্তি" (১৯৯৪)-দে বুকস,
"Hungryalist Interviews" edited by Ajit Ray, "বিষয় পোস্ট মর্ডানিটি" হাংরি আন্দোলনোত্তর সাক্ষাত্কার
সংকলন ২০০৪, "হাংরি আন্দোলনের ইস্তাহার" আবার এসেছি ফিরে পাবলিকেশনস ২০০৭ প্রভৃতি |
মলয় রায়চৌধুরী-র জন্ম পাটনায়, ডিহি কলকাতা-সুতানটি-গোবিন্দপুরের জমিদার সাবর্ণ চৌধুরীর
বংশে | পিতা রণজিত এবং মাতা অমিতা |
পিতামহ লক্ষ্মীনারায়ণ অবিভক্ত ভারতের লাহোরে গিয়ে, লাহোর মিউজিয়ামের কিউরেটর জন লকউড
কিপলিং সাহেবের কাছে ফোটোগ্রাফি এবং পেইন্টিং শিখেছিলেন | এই জন লকউড কিপলিং সাহেব ছিলেন
বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক রুডইয়ার্ড কিপলিং এর পিতা!
লক্ষ্মীনারায়ণের প্রধাণ কাজই ছিল রাজা মহারাজাদের ছবি আঁকা | সেই সুত্রে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর
পরিবারকেও এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে হতো | পিতার সাথে কাজ করতে করতে তাঁর
ছেলেরাও ছবি আঁকা এবং ফোটোগ্রাফিতে দক্ষ হয়ে ওঠেন | পাটনায় এসে দারভাঙ্গা মহারাজের ছবি
আঁকার সময় লক্ষ্মীনারায়ণের অকস্মাৎ মৃত্যু হয় | কবির পিতা রণজিত রায়চৌধুরী পাটনায় একটি
ফোটোগ্রাফি স্টুডিও খুলে সেখানেই বসবাস শুরু করেন | জ্যাঠামশায় প্রমোদ, পাটনা মিউজিয়ামের ছবি ও
ভাস্কর্যের তদারকির কাজে যোগ দেন | পাটনা মিউজিয়ামের অলিন্দে তাঁদের বেড়ে ওঠার সুবাদে বিশ্বের
ইতিহাসের নানান দিকের গভীর ছায়া তাঁদের জীবনকে প্রভাবিত করে যা পরবর্তীতে তাঁদের "হাংরী
জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলন"-এ উদ্বুদ্ধ করে |
মলয়ের মাতামহ কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় রয়াল ম্যালেরিয়া কমিশন (১৮৯৯)-এর সদস্য হয়েছিলেন
এবং একজন ফিল্ড ইনভেসটিগেটর হয়ে নেবেলজয়ী বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস (১৯০২)-এর সহকারী হিসেবে কাজ
করেছিলেন |
এ হেন ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী মলয়, ১৯৬০ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকনমিকস নিয়ে স্নাতকোত্তর
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন | তিনি কর্মসূত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক, এগ্রিকালচার রিফাইনানস ডেভেলাপমেন্ট
কর্পোরেশন, লাখনও, হয়ে যোগ দেন ন্যাশানাল ব্যাংক ফর এগ্রিকালচার এণ্ড রুরাল ডেভেলাপমেন্ট NABARD
-এ এবং এই সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হয়ে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে |
শুধুমাত্র কবিতা, নানা বিষয়ে মতের মিল না হওয়া ও সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তির স্পৃহা তাঁকে তাঁর পি.
এইচ.ডি অসমাপ্ত রেখেই কলকাতায় চলে আসতে বাধ্য করে | কলকাতায় এসে তাঁর প্রধাণ কাজ হয় "হাংরি
জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলনের (১৯৬১ ~ ১৯৬৫)" সূচনা ও নেতৃত্ব প্রদান করা | মলয়
রায়চৌধুরীকে আমরা এই বিখ্যাত সাহিত্য আন্দোলনের জনক বা পথিকৃৎ বললে অত্যুক্তি করা হবে না |
কবির সাথে এই আন্দোলনের শুরুতে ছিলেন কবির দাদা সমীর রায়চৌধুরী, কবি দেবী রায় এবং কবি শক্তি
চট্টোপাধ্যায় |
হাংরি আন্দোলন সম্বন্ধে কবির লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"হাংরি জেনারেশন বা হাংরিয়ালিস্ট সাহিত্য আন্দোলন" সম্বন্ধে বিশদভাবে জানতে এখানে ক্লিক করুন |
এই নব ধারার কবিতা আন্দোলনের জন্য মলয়ের চাকরি যায় | বন্ধুমহল ও আত্মীয় পরিজনের বিরাগভাজন
হতে হয় এবং তত্কালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেনের রাজত্যকালে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র এবং অশ্লীল সাহিত্য রচনা করার অভিযোগে" গ্রেপ্তার বরণ করতে হয় | এই আন্দোলনের সেখানেই
ইতি টানতে হয় | এ ছাড়া নানান গনমাধ্যমের অবিরত কুত্সা-বর্ষন ইত্যাদি সব মিলিয়ে কবির জীবন অতীষ্ঠ
হয়ে ওঠে এবং ১৯৬৭ সাল নাগাদ তিনি লেখা বন্ধ করে দেন | মাতা অমিতা দেবীর জীবনাবসানের পর
১৯৮৩ সালে তিনি আবার লেখা শুরু করেন এবং অচিরেই বাংলা কবিতার জগতে প্রথম সারিতে উঠে
আসেন |
তাঁর রচনা সম্ভার বিশাল | এ যাবৎ রচিত কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, সামাজিক বাদানুবাদপূর্ণ
প্রবন্ধ, অনুবাদ সাহিত্য মিলিয়ে তিনি চল্লিশটিরও বেশী গ্রন্থ রচনা করেছেন | নোবেল জয়ী মেক্সিকান
সাহিত্যিক অক্টাভিও পাজ, মার্কিন কবি আলেন জিনসবার্গ, নিকারাগুয়ার কবি এরনেস্টো কার্ডেনাল তাঁর
লেখায় আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ করেছিলেন | তাঁর একটি আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধ, মার্কিন প্রকাশক "Gale
Group Inc., 27500 Drake Road, Farmington Hills, MI 483313535, USA" এর দ্বারা প্রকাশিত "Contemporary
Authors Autobiography Series, Volume#14 [revised in Volume#215]" সংকলনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে |
তাঁর রচনার উপর প্রচুর এম.ফিল. এবং পি.এইচ.ডি. গবেষণার কাজ করা হয়েছে |
তিনিই সম্ভবত একমাত্র সাহিত্যিক যিনি ২০০৪ সালে ভারত সরকারের দেওয়া "সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার"
গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন |
তাঁর কাব্য-গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে "শয়তানের মুখ" (১৯৬৩), দীর্ঘ কবিতা "অমিমাংসিত" (১৯৬৫), ইংরেজী দীর্ঘ
কবিতা "Stark Electric Jesus" (1966), দীর্ঘ কবিতা "জখম" (১৯৬৬), "কবিতা সংকলন" (১৯৮৬), "মেধার
বাতানুকুল ঘুঙুর (১৯৮৬)", কবিতা "হাততালি" (১৯৮৯), "Selected Poems" (1989), "চিত্কার সমগ্র" (১৯৯৫),
"ছত্রখান" (১৯৯৫), "যা লাগবে বলবেন" (১৯৯৬), "Awe" (1998), "আত্মধ্বংসের সহস্রাব্দ" (২০০০), "কৌণপের
লুচিমাংস" (২০০৩), "কবিতা ২০০৪-১৯৬১" (২০০৫) প্রভৃতি |
হাংরি আন্দোলন নিয়ে আগ্রহী পাঠকের জন্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে "হাংরি আন্দোলনের কাব্যদর্শন"- দেবী রায়
(১৯৬৫), "Hungryalist Manifestoes/ ইস্তাহার সংকলন" (১৯৮৬), "হাংরি কিংবদন্তি" (১৯৯৪)-দে বুকস,
"Hungryalist Interviews" edited by Ajit Ray, "বিষয় পোস্ট মর্ডানিটি" হাংরি আন্দোলনোত্তর সাক্ষাত্কার
সংকলন ২০০৪, "হাংরি আন্দোলনের ইস্তাহার" আবার এসেছি ফিরে পাবলিকেশনস ২০০৭ প্রভৃতি |
No comments:
Post a Comment