“আজ্ঞে স্যার, কালকে সকালে পাড়ার লোকেরা তাকে কুপিয়ে মেরেছে”
মলয় রায়চৌধুরী ( অস্তিত্ব )
এই কবি কোনো দলের রঙের পোশাকে র্যালিতে যোগ দিয়ে পথে বসে থাকবেন না, অনশনে যোগ দেবেন না, কিংবা জেল ভরে তোলার ডাক দেবেন না । ক্ষমতাবানদের থেকে অনুমোদনের ছাপ্পা তিনি পাবেন না । তিনি কোনো নিও-গান্ধি নন, তবু তাঁকে বলা হয়েছে উগ্র-গান্ধিবাদী । সে-সময়ে ‘শান্তিপূর্ণ’ শব্দটি প্রতিবাদ শব্দের সঙ্গে জুড়ে বাক্যবন্ধ তৈরি করা হয়নি । তাঁরা বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেননি কিংবা বড়ো উদ্যোগপতিদের সমর্থনের জন্য হাত পাতেননি । তেমন ভাবনার কথা বললে তাঁরা চটে গিয়ে থুতু ছিটিয়ে দিতেন । একেবারে সত্যকার দ্যুৎকার । পৃথিবী দেখছে ভারত কেমন জোচ্চোরদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবার দেখনদারি করছে এবং ‘নিরহঙ্কারী’ নায়ক আন্না হাজারেকে ঠেকনো দিয়ে তুলে ধরেছে, আমি সেই সময়ের কথা ভাবি যখন প্রতিবাদ ও মতান্তর ভণ্ডামির ব্যাপার ছিল না । সৎ প্রতিবাদ থেকে সৃষ্টিশীলতা জন্মায়, তাকে সাউণ্ড বাইটের জোরে বেঁচে থাকতে হয় না ।
“ আমার মনে হয় মানুষ প্রথমে তত্ব তৈরি করে আর তারপর তা প্রয়োগ করতে গিয়ে সমাজের প্রচুর ক্ষতি করেছে। ডাণ্ডি মার্চের নকল করার ঘটনাটাই ভেবে দ্যাখো, সেকালের তত্বকে এখন প্রয়োগ করে আবার মার্চ করার প্রদর্শনী । সকলেই জানে যে ব্যাপারটা একটা ফার্স । সংস্কৃতির তত্ব হয় না ।” এই কথাগুলো আমি কুড়ি বছর আগে শুনেছিলাম । আমি বসেছিলাম হাংরি আন্দোলনের প্রধানপুরুষ মলয় রায়চৌধুরীর মুম্বাই শহরতলির ফ্ল্যাটে, সেই মানুষটির বাড়িতে যাঁর কলম থেকে ক্ষুধার্ত মানুষদের পাকস্হলির ক্ষারে পরিপূর্ণ শ্বাস বেরিয়ে আসত ।
ছোটো একটা বসার ঘরে -- একটা সোফা, চেয়ার, ডাইনিং টেবিল, না ডাইনিং টেবিল ছিল না -- রান্নার তেলফোড়নের আওয়াজকে পরস্পরবিরোধী মনে হয়নি আমার । এই মানুষটি উপজাতিদের সঙ্গে জঙ্গলে বসবাস করতে যাননি, মোটা মোটা বই লেখেননি, সোয়ারোসকির মতন ঝলমলে দামি ইংরেজি বাগ্মীতায় দেশদ্রোহের বাখান দেননি । খ্রিসমাসের দিন যিশুর নামে যেমন রঙিন রাঙতা ওড়ানো হয় তেমন করে দক্ষিণপন্হীদের দিকে প্যামফ্লেট উড়িয়ে স্মিত হাসি হাসেননি । তখন অবশ্য দক্ষিণপন্হী শত্রু ছিল না । যেমন ছিল না ক্ষমতাবানদের সামনে হাত কচলানো । সব কিছুই ছিল ‘অপর’ ।
উনি নকশাল আন্দোলনে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক আদর্শের খাতিরে বোমা বানাতে পারতেন। উনি নিজেকে আদর্শবাদীর মোড়কে ঢেকে ভারি মাথা আর পায়ে ফাটল নিয়ে ডিগবাজি খেয়ে মৃত্যুর দেশে চলে যেতে পারতেন। তা উনি করেননি । উনি রক্তমাংস, রক্তাক্ত জখম, মর্ত্যের নরক, পতিত এলাকার কবিতা লেখা বজায় রাখলেন। ওনার অতীতের অন্ত্রে এখনও ক্রোধ রয়ে গেছে । অতীতের হাইপোডারমিক সিরিঞ্জে মরচে ধরে গেলেও হয়তো অনেক সময়ে উইথড্রল সিম্পটম দেখা দেয়, তবু তা উনি পরিত্যাগ করেননি ।
পঞ্চাশের দশককে যখন গোর দেয়া হয়ে গেছে এবং অ্যালেন গিন্সবার্গ নিজের পোশাক পালটে একধরণের নিশান হয়ে উঠেছেন, কলকাতার একদল কবি যাঁরা বাঙলাভাষায় কবিতা লিখতেন তাঁদের কাদামাখা হাতে আরম্ভ করেছিলেন হাংরি আন্দোলন । লিরিক রচনাকারদের অলস জীবনে তা উথালপাথাল ঘটিয়ে দিয়েছিল। হাংরি আন্দোলনকারীরা ছিলেন বিলাসবহুল খাইয়েদের প্রতিসন্দর্ভের জগতের যুবকদল, কিন্তু তাঁদের ‘হাংরি’ নামকরণ তাঁরা করেছিলেন জিওফ্রে চসারের কভাণ্টারবারি টেলসের পঙক্তি ‘ইন দি সাওয়ার হাংরি টাইম’ থেকে এবং তার বুনিয়াদ গড়ে তুলেছিলেন অসওয়াল্ড স্পেংলারের সংস্কৃতি সম্পর্কিত ব্যাখ্যা থেকে, যে, একটি সংস্কৃতি তার অবসানের সময়ে বাইরের উপাদান আত্মসাৎ করতে থাকে । সাক্ষাৎকারে মলয় রায়চৌধুরী বলেছিলেন, যে, “আমি এই ধারণায় ক্ষুধার ও সংস্কৃতির বাস্তবতা খুঁজে পেয়েছিলাম” ।
হাংরিদের কবিতাকে বলা হচ্ছিল হিস্টিরিয়া-আক্রান্ত, কিন্তু তা সত্বেও তাঁদের কবিতা যাবতীয় টেকনিক থেকে স্বাধীন হয়ে উঠেছিল । মলয় রায়চৌধুরী তাই লিখেছিলেন, “শিল্পের জন্য সক্কোলকে ভেঙে খান-খান করে দেবো।” সেই উক্তি কোনো ফাঁকা বাহাদুরি ছিল না । হাংরিদের কাজকর্মকে বলা হয়েছে অদ্ভুত । তাঁরা ছেঁদো পার্টিপলিটিক্স বর্জন করতে চেয়েছিলেন, যেন সবায়ের সামনে পাদতে চাইছেন, ঢেঁকুর তুলতে চাইছেন । এমনকি টাইম ম্যাগাজিন তাদের ২০ নভেম্বর ১৯৬৪ সংখ্যায় বলতে বাধ্য হয়েছিল যে, “সৃষ্টিশীলতার ঝড় বইয়ে দেবার জন্য গত গ্রীষ্মে হাংরি আন্দোলনকারীরা কলকাতার গন্যমান্য লোকেদের -- পুলিশ কমিশনার থেকে ধনী চিরকুমারদের -- চার অক্ষরের নিমন্ত্রনপত্রে আহ্বান জানিয়েছিলেন টপলেস প্রতিযোগীতা দেখার প্রদর্শনীতে আসতে । ব্যাপারটা হয়তো ছিল হিপোক্রিটদের আক্রমণ করার জন্য । মলয় বলেছেন যে, “রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের পরিবর্তে নিজেদের লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন হাংরি আন্দোলনকারীরা । আমরাই প্রথম প্রতিষ্ঠানবিরোধী হিসাবে ঘোষিত হলাম এবং বাংলা কবিতার জগতে এটা ছিল প্রথম একটা ভালো খবর।”
কিন্তু তাঁর পক্ষে ভালো খবর ছিল না । রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, কম বয়সীদের নষ্ট করার প্রয়াস ইত্যাদি অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলো তাঁদের বহু সদস্যকে -- এবং মলয় রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরেকটি বাড়তি আরোপ ছিল, সাহিত্যে অশ্লীলতার । অন্যান্য সদস্যদের পুলিশ ছেড়ে দিয়েছিল, কেননা তাঁরা মলয়ের বিরুদ্ধে মুচলেকা দিয়েছিলেন । তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল যতদিন না কলকাতার উচ্চ আদালত তাঁকে মুক্তি দিয়েছে।
যে কোনো বাড়িতেই ঘটনাটা সবাইকে ব্যতিব্যস্ত করবে । মলয়, তখনও বিয়ে করেননি, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে এমন দৃশ্য সহ্য করতে হয়েছে যখন তাঁর অসহায় বাবার চোখের সামনে পুলিশ তাঁর মায়ের স্টিল ট্রাঙ্ক ভেঙে ফেলেছে । তাঁর বাবা-মা স্কুলে পড়াশুনা করেননি । “হাংরি আন্দোলনে আমরা প্রায় সবাই ছিলাম প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত, দরিদ্র পরিবারের সদস্য ।” তাঁদের সামনে যা পরিবেশন করা হতো তাকেই সংস্কৃতি হিসাবে মেনে নিতে হতো । মলয়ের ঠাকুর্দা ছিলেন শিল্পী এবং রাজা-রানীদের পেইনটিঙ আঁকতেন ।
প্রতিটি বাঙালির আরেকজন ঠাকুর্দা তাঁদের প্রভাবিত করতে পারেননি । “রবীন্দ্রনাথ ছিলেন কোটিপতি ; তাঁকে সামনে রেখে আমাদের প্রসঙ্গ উথ্থাপন করা যা্য় না । কেবল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকেই নয়, পরবর্তী কবিদের থেকেও, আমাদের আত্মিক বৈশিষ্ট্য ও অনুভববেদ্যতা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল । সাইত্যজগতে প্রবেশ করার সময়ে আমরা নিয়ে আসলাম আমাদের নিজেদের বর্গের অভিজ্ঞতা, যা সেই সময়ে বঙ্গসংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে আলাদা ছিল । ফলে আমাদের তখনই স্বীকৃতি দেয়া হয়নি ।” তাঁদের রক্তমাংসের আঘাতজনিত জখম থেকে রক্তের স্রোত বয়ে গেছে । মলয় লিখেছিলেন, “যোনি মেলে ধরো, শান্তি দাও।”
হাংরি আন্দোলনকারীরা কি ভীতি ছিল যে তাঁদের আরম্ভ করে যুদ্ধ তাঁরা শেষ করে যেতে পারবেন না ? সাক্ষাৎকারে মলয় বলেছেন, “এখনকার চিত্রকল্প এবং শব্দাবলী সন্ত্রাসে পরিপূর্ণ, যা এই সময়ের প্রতিফলন, যে ধরনের অভিজ্ঞতা নম্র সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না । কিন্তু হ্যাঁ, বিশেষ পাঠকবর্গকে আকৃষ্ট করার প্রয়াস ছিল বৈকি । তারপর আমরা আত্মপ্রশ্নে জর্জরিত হতে আরম্ভ করলাম, কেনই বা পাঠককে আনন্দ দেবার জন্য লেখালিখি করা হবে ! তাকে কেন আঘাত দিয়ে জাগিয়ে তোলা হবে না ? সেক্ষেত্রে পাঠক তোমাকে মনে রাখতে বাধ্য হবে ।”
প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষও হাংরি আন্দোলনকারীদের কাজকর্মে-লেখায় ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্য আবিষ্কার করে থাকবেন -- রাজনৈতিক উথ্থান -- হাংরিদের লেখায় যেন তেমন ব্যাপারই ছিল । জনৈক আলোচক লিখেছিলেন যে মলয়ের প্রেমের কবিতাতেও রাজনীতি পাওয়া যায় । “ মলয় বললেন, সেভাবে দেখতে গেলে জীবনের সব ঘটনাকেই যেমনভাবে ইচ্ছা ব্যাখ্যা করা যায় । দ্যাখো, তুমি হয়তো ঈশ্বরে বিশ্বাস করো না, কিন্তু তোমার মনের ভেতরে কোনো কারণে যে আতঙ্ক, কিছু একটা আঁকড়ে ধরার চেষ্টাকে লোকে ঈশ্বরে বিশ্বাস বলে মনে করতে পারে । বহু আলোচক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বিশ্লেষণ করতে ভালোবাসেন । কিন্তু ভেবেচিন্তে কবিতায় কেউ বিশুদ্ধ রাজনীতি আনে না ।” তবু মলয় রায়চৌধুরী নিজেকে রাজনীতির মানুষ বলে মনে করেন না, হাংরি মতাদর্শের ভেতরে বসবাস করা সত্বেও । “আমরা ছিলাম সাংস্কৃতিক বহিরাগত । আমরা কলকাতাকে সেই সমস্ত জিনিস এনে দিয়েছিলাম যা তার আগে ছিল নন-মেট্রোপলিটান উপাদান”, বললেন মলয় ।
হাংরি আন্দোলন ঝালর হয়ে ঝুলে থাকার জন্য আরম্ভ করা হয়নি ; বরং তা লড়াই করে সংস্কৃতির ভেতরে প্রবেশ করে নিজের স্হানাংক নির্ণয় করতে চেয়েছিল, যে সংস্কৃতি যা পাচ্ছিল তাকেই চিবিয়ে চর্বিত চর্বণ করে ফেলছিল । অতএব কিনারে ঠেলে দেওয়া মোটেই পছন্দ হয়নি তাঁদের । হাংরি আন্দোলনকারীদের সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ডাকা হতো না । মলয় বলেছেন, “বড়ো একটা পাঠক সমাজ আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গিয়েছিল ; বন্ধুরা কেটে পড়েছিল আদালতে আমার সাজার সংবাদে । বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল আমার লেখাপত্র প্রকাশ করা । তাই লেখালিখি ছেড়ে দিয়েছিলাম । মাঝে আমি সাহিত্যের বিষয়ে কিছুই ভাবতাম না, নিজের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে খেলতাম ।”
বিপ্লব তার বৃত্ত পুরো করে ফেলেছিল । যে লোকটা দেশের গ্রামেগঞ্জে চরে বেড়াতো, চাষিদের সঙ্গে সময় কাটাতো, মেঝেয় শুয়ে রাত কাটাতো, তার কাছে তখন “জীবনযাপন কবিতা লেখার চেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল।” মলয়ের কাছে লেখালিখি বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল । মলয় বুঝতে পারছিলেন যে গ্রামে গেলে এখন কুয়োর জল খেলে তাঁর পেট খারাপ হয়, ফলে বোতলের জল খেতে হতো । ব্যাপারটা এমন একজন মানুষের অকপটতার প্রতিফলন যিনি একদা লিখেছিলেন, “অজস্র কাচ ভেঙে যাচ্ছে কর্টেক্সে” । তাহলে কোথায় পরিবর্তন ঘটল ? তাকি আনুই ? প্রতীক্ষা ? “আমি কনফিউজড । কাঠামোকে কেমন করে পালটে ফেলা যেতে পারে সে ব্যাপারে আমি কনফিউজড।” শহরতলিতে কাটানো আরামের জীবন এবং পরিবারের সঙ্গে অতিবাহিত সময় কি তাঁকে মানসিক শান্তির জগতে এনে দিয়েছিল ? কোনো রিগরেট ছিল কি ? তাঁর কোনো কোনো বন্ধু নকশাল আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন । মলয় বলেছেন, “ওই ধরনের বৈপ্লবিক পন্হা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না।” প্রতিষ্ঠান তো সংস্কৃতিরই অঙ্গ এবং তাও ক্রমশ অধঃপতনের পথে নেমে চলেছে । বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে বেঁচে থাকার ব্যথাগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন কিছু-কিছু ব্যাপারকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হয়, অনেককে অস্বীকার করতে হয় ।
আপনি কি বিষ খাবার পর নীলকন্ঠ ? হাংরি আন্দোলনকি এখনও প্রাসঙ্গিক ? “আমি জানি আমি বদলে গেছি”, বললেন মলয়, “আমার কবিতার ধরণও বদলে গেছে, এখন নিজেকে বিপ্লবী ঘোষণা করাটা জোচ্চুরি হবে।”
রাজপথ দিয়ে লোকেরা হেঁটে যাচ্ছে । ক্যাম্পের আগুনের চারিপাশে যুবকেরা বসে আছে । জনগণ মনে রেখেছে উড়ন্ত শব্দের কাঁপনভরা কন্ঠস্বর, মতান্তরের রেশমগুটিতে অমরত্ব পেয়ে গেছে সেই কন্ঠ । মলয় পরবর্তী কবিতায় প্রশ্ন তুলেছেন, “জামাটা গলিয়ে নেবো ? দু-মুঠো কি খেয়ে নেবো ? পিছনের ছাদ দিয়ে পালাব কি ?”
বিপ্লব এখন রোবোটের আকার নিয়েছে । সিসটেম ও কাউন্টার সিস্টেম ঘন অন্ধকারে কোন গুলো থেকেও উঁকি মেরে টেনে বের করে আনবে যাকে চায় তাকে । মলয় রায়চৌধুরী তার এখনকার কবিতায় ঠিকই বলেছেন, “দুপাশে শহর জ্বলছে/কাঁখে শিবলিঙ্গ নিয়ে ল্যাংটো মোহান্ত ছুটছে।”
আপনি নিজেই নির্নয় নিন । আজকের মিউটিনি আপনাকে খালি হাতে ফেরাবে না ।
কাউন্টারপাঞ্চ
১১ নভেম্বর ২০১১
No comments:
Post a Comment