বাংলার হাংরি মুভমেন্ট ও পাশ্চাত্যের ইম্প্রেশনিজম : পর্ব ১
|
April 5, 2016
বাংলার হাংরি মুভমেন্ট ওপার বাংলায় যে
দোলা দিয়েছিল তার ঢেউ আছড়ে পরেছিল সেই পাশ্চাত্যে আর ল্যাটিনেও। হাংরি
মুভমেন্ট এপারেই বরং কম আবেদন কিংবা নাড়া দিয়েছিল বলেই আমার ধারণা। যাই হোক
ধারাবাহিক এ রচনার প্রথম কিস্তিতে হাংরি মুভমেন্টকেই আমরা আপন হিসেবে
নিয়েছি,যেখানে ইম্প্রেশনিজম পাশ্চাত্য থেকে আমদানিকৃত ।
প্রেক্ষিত ভিন্ন হলেও এ দুটি ধারা বেশ
তাৎপর্যপূর্ণভাবেই ভাষা,সাহিত্য কিংবা শিল্পকলায় প্রভাব বিস্তার করে
গিয়েছে। কিংবা অদ্যাবধি এদের প্রভাব প্রত্যেক করছি বললেও ভুল হবেনা। হাংরি
মুভমেন্টকে পাতে তোলার আগে এর ঠিকুজী নির্ণয় যেতে পারে। বাংলা সাহিত্যের
অচলায়তন ভাঙতে সুসংগঠিত একমাত্র দার্শনিক নাড়াই ছিল হাংরি আন্দোলন। ১৯৬১
সালের দিকে বিহারে কতিপয় বাঙালী কবির হাত ধরে হাংরি আন্দোলন সূচিত হয়।
হালের জনপ্রিয় মলয় রায় চৌধুরী,শক্তি চট্রোপাধ্যায়,সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা
সমীর রায় চৌধুরীরা বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার এক অনুপম দলিল
রচনা করেন বিহারের পাটনায়। সেক্ষেত্রে মলয় রায় চৌধুরীকেই মনে করা হয় মুখ্য
ভাবগুরু।
প্রচলিত ছন্দ,অলংকার, বানানরীতিকে
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন এঁরা। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে ব্রাত্য শব্দাবলীর অবাধ
ছাড়পত্র দিয়েছেন হাংরিয়েলিস্টগণ। ইম্প্রেশনিজম সম্পর্কে লেখা যায় অনেক
কিছুই। তবে ইম্পেশনিজম সাহিত্যের আপন কিছু নয়। এটি চিত্রকর্মের আপন
মুভমেন্ট। বয়সের দিক থেকে এটি হাংরি মুভমেন্ট থেকে একশো বছরের প্রাচীন।
১৮৬২ সালের দিকে ফরাসী কতিপয় চিত্রশিল্পী নতুনধারার চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর
উদ্যোগ নেন,যেখানে ক্লোদ মনের চিত্রকর্ম যথেষ্ট আলোচিত ও সমালোচিত হলে একে
অনেকে বলতে শুরু করেন “ইম্প্রেসিঁও”। সেই থেকে ইম্প্রেশনিজম জনপ্রিয় হয়।
ইম্প্রেশনিজমকে বাংলায় বলা যায় “অন্তর্মুদ্রাবাদ”।
ইম্প্রেশনিজম তাত্ত্বিক দিক থেকে
চিত্রকলায় ব্যাপক পরিবর্তনের ইশতেহার রচনা করে। প্রচলিত চিত্রকলায় যেখানে
বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন উপলক্ষ নিরৃধারণ করা হয়েছে,সেখানেই
ইম্প্রেশনিস্টদের আপত্তি। বাস্তবতাকে বরং রহিত করে বাস্তব বিষয়ের মানসিক
অনুরণনকে চিত্রকলার ক্ষেত্রে গুরুত্ববহ বলে মনে করেন ইম্প্রেশনিস্টরা।এভাবে
ইম্প্রেশনিজম চিত্রকলা থেকে আলোড়ন তোলে সমস্ত জ্ঞানরাজ্যে।….. (চলবে)
বিঃদ্রঃ পোস্টের বক্তব্যের দায় একান্তই আমার
লেখক : এস এম শাহাদাৎ জামান
No comments:
Post a Comment