" একজন যিনি কবি হযে় উঠতে চান, তার আত্মবিমোচন পদ্ধতি শুরু হতেই যদি বুঝে
যান যে তিনি ক্ষমতার বিপক্ষের লোক নন, তিনি ক্ষমতার পক্ষের লোক; তিনি যে
ভাষা পেতে চান সেটি ক্ষমতাকে বিরূপ করে তুলবে -- তখন শুরু হয় তার ত্রাসের
কাল | ভাষা বিমোচন তো দূরের কথা, এই সংঘর্ষের ক্ষেত্রটি থেকে পলায়নই তার
বাঁচার পথ হয় | এমন রচনাকার আমরা দেখেছি যিনি ক্ষমতার ভাষাকে আঘাত করার
আপাত একটা মানসিকতা দেখাচ্ছেন কিন্তু অনতিকালেই তিনি ওই পথ ত্যাগ করতে
বাধ্য হন | তিনি ঢুকে পডে়ন ক্ষমতাসেবীর দলে |"
---শৈলেশ্বর ঘোষ (ভাষা বিমোচন)
ক্ষমতাসেবীদের দলে ঢুকে পড়ার পর শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষের বাংলো বাড়ি ।
ক্ষমতাসেবীদের দলে ঢুকে পড়ার পর মন্ত্রী আয়োজিত সভায় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ
Saileswar Ghosh
বাংলোবাড়ির মালিক ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি যিনি নিজেকে সর্বহারা ঘোষণা করেছেন !
"এই সভ্যতার কাছে কবিই সবচেযে় বড় অপরাধী। কারণ সভ্যতার বেঁধে দেওযা় গন্ডীর সীমা কবিই প্রথম লঙ্ঘন করে। কবি শব্দই আমাদের কাছে বিদ্রোহবাচক। কবি, প্রচারিত মহত্বের আডালে কামার্ত মুখগুলি চিনে ফ্যালে - কবির চোখ সমস্ত গোপন হত্যাকাণ্ড দেখে ফ্যালে। যারা শ্রেষ্ঠ তাদের ধ্বংস করেই এই সভ্যতা আনন্দ পায়। কবি যথার্থ সর্বহারা সে সক্রিয় এবং আক্রমণকারী, তার হারাবার কিছুই নাই । সর্বহারা বলেই সে প্রতিটি শব্দের প্রকৃত ইতিহাস আবিষ্কার করতে পারে । আইনসম্মত বেশ্যাবৃত্তিই এই সভ্যতার চমকপ্রদ ইতিহাস। কবির সৃষ্টিকে ভয়ংকর ব'লে মনে করে । তার কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়। স্বপ্নহীন পৃথিবীতে কবিই কেবল স্বপ্ন দেখে । স্বপ্নহীন মানুষ কবির সৃষ্টিকে অশ্লীল মনে করে । বিদ্রোহকে বিকার মনে করে। ভালোবাসাকে অপরাধ বলে ঘোষণা করে। 'সাফল্য'ই কবির কাছে সবচেযে় অশ্লীল শব্দ। মেলাবে মিলিযে় দেবে সে কবি নয়, সে এক ঘুষখোর যে সস্তায় বাজিমাত করতে চায়।"
---শৈলেশ্বর ঘোষ
---শৈলেশ্বর ঘোষ (ভাষা বিমোচন)
ক্ষমতাসেবীদের দলে ঢুকে পড়ার পর শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষের বাংলো বাড়ি ।
ক্ষমতাসেবীদের দলে ঢুকে পড়ার পর মন্ত্রী আয়োজিত সভায় শ্রীশৈলেশ্বর ঘোষ
Saileswar Ghosh
বাংলোবাড়ির মালিক ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি যিনি নিজেকে সর্বহারা ঘোষণা করেছেন !
"এই সভ্যতার কাছে কবিই সবচেযে় বড় অপরাধী। কারণ সভ্যতার বেঁধে দেওযা় গন্ডীর সীমা কবিই প্রথম লঙ্ঘন করে। কবি শব্দই আমাদের কাছে বিদ্রোহবাচক। কবি, প্রচারিত মহত্বের আডালে কামার্ত মুখগুলি চিনে ফ্যালে - কবির চোখ সমস্ত গোপন হত্যাকাণ্ড দেখে ফ্যালে। যারা শ্রেষ্ঠ তাদের ধ্বংস করেই এই সভ্যতা আনন্দ পায়। কবি যথার্থ সর্বহারা সে সক্রিয় এবং আক্রমণকারী, তার হারাবার কিছুই নাই । সর্বহারা বলেই সে প্রতিটি শব্দের প্রকৃত ইতিহাস আবিষ্কার করতে পারে । আইনসম্মত বেশ্যাবৃত্তিই এই সভ্যতার চমকপ্রদ ইতিহাস। কবির সৃষ্টিকে ভয়ংকর ব'লে মনে করে । তার কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়। স্বপ্নহীন পৃথিবীতে কবিই কেবল স্বপ্ন দেখে । স্বপ্নহীন মানুষ কবির সৃষ্টিকে অশ্লীল মনে করে । বিদ্রোহকে বিকার মনে করে। ভালোবাসাকে অপরাধ বলে ঘোষণা করে। 'সাফল্য'ই কবির কাছে সবচেযে় অশ্লীল শব্দ। মেলাবে মিলিযে় দেবে সে কবি নয়, সে এক ঘুষখোর যে সস্তায় বাজিমাত করতে চায়।"
---শৈলেশ্বর ঘোষ
No comments:
Post a Comment