সাহিত্যে যে কয়েকটি আন্দোলন বাঁক পরিবর্তন করেছিল তার
মধ্যে ‘হাংরি আন্দোলন’ সবচেয়ে অ্যাফেক্টিভ ছিল। ষাটের দশকে মলয় রায় চৌধুরী,
সমীর রায় চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার এই কবিগোষ্ঠীরা এ
আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ‘হাংরি’ শব্দটি তাঁরা গ্রহণ করেছিলেন ইংরেজি
সাহিত্যের কবি জিওফ্রে চসারের কবিতা থেকে। এর দর্শন ছিল ‘প্রচলিত নিয়মের
বাইরে থেকে লোকজনকে কিছু বলা। লোকজন শব্দটা ব্যবহার করলাম সার্বিক অর্থে
যেখানে লেখক, পাঠক, দর্শক, শ্রোতা সবাইকে ইনক্লুড করা সম্ভব। সবার কথা
মাথায় রেখে প্রচলিত নিয়মের বাইরে লেখালেখি করাই ছিল লক্ষ্য।
Establishment-
এর বিভিন্ন ক্ষেত্রকে নাড়িয়ে দিতেই এ আন্দোলনের শিল্পী বা যোদ্ধারা সজাগ
ছিলেন। সংস্কৃতি সরলরেখায় চলে না, তার ডালপালা আছে তাই তার গঠন ভিন্ন হবে
এবং ভিন্ন ভিন্ন দিকে যাবেই। সেগুলোকে দেখানোই এর কাজ।
তো ‘হাংরি আন্দোলন’-এর কথা বলে সেই কবিগোষ্ঠীর যে
প্রচলিত স্রোতের বিপরীতে কাজের সাধনা সেটা শিল্পের ক্ষুধা থেকে এসেছিল
ভেরিয়েশন দেবার জন্য। সিনেমার ক্ষেত্রে সেই ভেরিয়েশনটি ফারুকী তার সিনেমা
আন্দোলন থেকে শুরু করেছিলেন যেটা চলছে এখনও। ফারুকীর কাজ নিয়ে অনেক
‘স্টেরিওটাইপ’ সমালোচনা চালু আছে। যেমন – উনি সব ক্লাসের জন্য সিনেমা বানান
না, বাণিজ্যিক সিনেমা উনি বোঝেন না, সাইনভিত্তিক একঘেয়ে কাজ বেশি করেন
ইত্যাদি। সমালেচনা ফারুকী যে হজম করেন না তা নয়। করেন। তবে তার সমালোচকদের
জবাব দেবার জন্য তিনি উজানের পথে আরো বেশি হাঁটেন। যাই হোক যা বলছিলাম,
ফারুকীর সিনেমার সেই স্রোতের বিপরীতে ‘cinematic language’ কীভাবে
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার কিছু কথা বলছি…
No comments:
Post a Comment