- হাংরি আন্দোলনের অবদানের প্রতর্কবিন্দুগুলি
- Authorial Inclusion – The Poet Appears as a Character or Even a Suspect : কবিতা ভিতর কবি নিজেকে স্থাপন করেন। বয়ানকারী বা চরিত্র হিসেবে হাজির হয়েও পাঠকের কাছে ধরা দিতে পারেন যেমনটা দেখা যায় বাউলগানে বা বয়াতী গানে। বিট জেনারেশনের কবি গীনস্বার্গ এ ধরনের কবিতা লিখেছেন।
- Chinese – Box Words / Metalepsis / Circularity : কবির ভিতর কবি/কবিতার ভিতর কবিতা/স্বপ্নকল্পের ভিতর স্বপ্নকল্প পরস্পর অন্তপ্রবিষ্ট বয়ানের মালা যার শীর্ষ আর প্রান্তের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। Borges’ famous short story ‘The Circular Ruins’ suggest that we are all just dream-images in another narrator’s dream who is in turn being dreamed by another dreamer and so on up (and down) the chain. The poets think with things, not about them – concept of an endless cycle: there are no full stops, no periods. On this cycle of the organic and inorganic. They are not to be stacked on top of one another as if they are stanzas of a single continuous poem.
এ সংক্রান্ত প্রাথমিক নিরীক্ষা
জীবনানন্দের কবিতায় পাওয়া যায়। জীবনানন্দের বহু কবিতার শিরোনাম কবিতাটির
প্রথম একটি – দু’টি শব্দ দ্বারা চিহ্নিত। যেমনঃ সেদিন এ ধরণীর, ধান কাটা
হয়ে গেছে, আমাকে তুমি, হাজার বছর শুধু খেলা করে, হায় চিল, একটি নক্ষত্র
আসে, সময়ের কাছে, এইখানে সূর্যের, মানুষের মৃত্যু হলে, স্থান থেকে,
পৃথিবীতে এই। শিরোনামটি এক্ষেত্রে প্রস্থান-শব্দ, কবির একজিট। যৌগটি
নির্মাণের পর ওই প্রস্থান দিয়ে তিনি বেরিয়ে গেছেনে এবং সেখান দিয়েই পাঠককে
প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছেন। যে মুড থেকে কবিতাটি শুরু হয় শেষ হয় একই
জায়গায়। অর্থাৎ কেন্দ্র এবং প্রান্ত বলে কিছু থাকে না বা শুরু বা শেষ বলে
কিছু নেই, যদিও গঠনে মনে হয় পুনঃপুনঃ ফিরে আসছে, কিন্তু বদ্ধ সমাপ্তির
কবিতা নয়, উন্মুক্ত।
- Crossover Forms -There’s No Mystery Here! : উঁচু-নীচু/ ভালো-মন্দ যুগ্ম বৈপরত্যের সীমানা ভেঙ্গে মানবিক গুণাবলীর শ্রেণী মর্যাদা (hierarchy)-র উগ্র বিচ্যুতির বিনাশের জন্য প্রথাগত ফর্মের ভিন্ন ফর্মের কবিতা। অণুকাব্য, আলফা মেইল পোয়েট্রি, মাইক্রোকবিতা, ন্যানোকবিতা বা অনিশ্চিত লাইনভেঙ্গে মুক্ত ফর্মে লেখা কবিতা অথবা ফর্মের সমন্বয়ে ভিন্ন ফর্ম।
- Intertextuality : কবিতার ভিতর অন্য কবিতা/কবিতাংশ বা গান (টেক্সট) বা কোন পরিচিত চরিত্রের উপস্থাপন/অন্তর্ভুক্তি। The acknowledgment of previous literary works within another literary work.
Since postmodernism represents a
decentered concept of the universe in which individual works are not
isolated creations, much of the focus in the study of postmodern
literature is on intertextuality : the relationship between one text and
another or one text within the interwoven fabric of literary history.
Critics point to this as an indication of postmodernism’s lack of
originality and reliance on clichés. Intertextuality in postmodern
literature can be a reference or parallel to another literary work, an
extended discussion of a work, or the adoption of a style.
- Magic Realism : যে কোন ‘Simulacra’র সম্ভাবনা নস্যাৎ করার জন্য অবাস্তব বা অসম্ভব বিষয়কে যাপিত জীবনের মধ্যে বাস্তবতার মতো উপস্থাপন। জাদু বাস্তবতা কোন চূড়ান্ত বা শ্রেয় ইন্টারপ্রিটিশনকে প্রত্যাখান করে, যেহেতু কোন কিছুর মানে নির্ণয় করা যায় না। উপরি তলের media-like image ব্যবহার যাদের নিজেরা ছাড়া কোনো রেফারেন্স নেই (স্বয়ংম্ভু)। জীবন ও শিল্প-সাহিত্য উভয়ই যেহেতু ফিকশন বা উভয়ের মিশ্রণ। কাজেই কবিতায় এদের ভেদ থাকে না যা জাদুবাস্তবতা বা বহুসীমায় শেষ হয় ।
[ Fabulation :
Fabulation is a term sometimes used interchangeably with metafiction and
relates to pastiche and Magic Realism. It is a rejection of realism
which embraces the notion that literature is a created work and not
bound by notions of mimesis and verisimilitude.]
- Pastiche – The Hybrid Muse : নতুন শৈলী নির্মাণের জন্য পূর্ববর্তী লেখক/কবিদের বিভিন্ন আইডিয়া ও সাহিত্য শৈলী কবিতায় ব্যবহার। জাতিগত, লিঙ্গ এবং সাংস্কৃতিক বৈষম্যের প্রতিরোধ হিসাবে একই কবিতায় বিভিন্ন স্টাইলের সমন্বয়ে সংকর বা হাইব্রিড কবিতা নির্মাণ । By mingling different styles, typefaces, narratorial voices, settings, themes and histories ‘within one text’, the poet in defeating the possibility of interpreting the text in any one way.
হাংরি আন্দোলনের পরের প্রজন্মগুলোয় গালাগাল, খিস্তি, স্ল্যাং নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে লেখালিখিতে, পড়তে আক্রমণাত্মক লাগলেও, সেগুলো স্রেফ নব্যালঙ্কার হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে
মলয় রায় চৌধুরীর কবিতা :
প্রতিদিন : একটি পোস্টমডার্ন কবিতা
( জীবনানন্দের ‘আটবছর আগের একদিন’ কবিতার প্যাশটিস )
শোনা গেলো লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে, আর তার বউ ও শিশুকে
কাল রাতে—ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন ভাঁড়ারে আর একদানা চাল নেই
বধূ-শিশু খুন করে মরতে বাধ্য হলো ।
নিয়ে গেছে তারে, আর তার বউ ও শিশুকে
কাল রাতে—ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন ভাঁড়ারে আর একদানা চাল নেই
বধূ-শিশু খুন করে মরতে বাধ্য হলো ।
বধূ শুয়ে ছিল পাশে—শিশুটিও ছিল
প্রেম ছিল, ছিল নাকো কিছুই খাবার—জ্যোৎস্নায়—তবু সে দেখিল
ক্ষুধার প্রেতিনী ? ঘুম তো আসে না রাতভর
কেননা ক্ষুধার্ত পেটে হয়নি ঘুম বহুকাল—লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার ।
প্রেম ছিল, ছিল নাকো কিছুই খাবার—জ্যোৎস্নায়—তবু সে দেখিল
ক্ষুধার প্রেতিনী ? ঘুম তো আসে না রাতভর
কেননা ক্ষুধার্ত পেটে হয়নি ঘুম বহুকাল—লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার ।
এই ঘুম চেয়েছিলো বুঝি !
বিষ-গ্যাঁজলা মাখা ঠোঁটে মড়কের ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজি
আঁধার ঘুঁজির বুকে তিনজন খালি পেটে ঘুমায় এবার
কোনোদিন এই পরিবার জাগিবে না আর
খালি পেটে গাঢ় বেদনার
অবিরাম অবিরাম ক্ষুধা
তিনজনে সহিবে না আর—
এই কথা বলেছিল তারে
চাঁদ ডুবে চলে গেলে—বুভুক্ষু আঁধারে
যেন তার মেটেল দুয়ারে
মোটরসাইকেলবাহী ধর্ষকেরা এসে
বিষ-গ্যাঁজলা মাখা ঠোঁটে মড়কের ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজি
আঁধার ঘুঁজির বুকে তিনজন খালি পেটে ঘুমায় এবার
কোনোদিন এই পরিবার জাগিবে না আর
খালি পেটে গাঢ় বেদনার
অবিরাম অবিরাম ক্ষুধা
তিনজনে সহিবে না আর—
এই কথা বলেছিল তারে
চাঁদ ডুবে চলে গেলে—বুভুক্ষু আঁধারে
যেন তার মেটেল দুয়ারে
মোটরসাইকেলবাহী ধর্ষকেরা এসে
তবুও তো নেতা জাগে
লুম্পেনেরা এসে ভোট মাগে
আরেকটি নির্বাচনের ইশারায়—অনুমেয় উষ্ণ হুমকি দিয়ে
লুম্পেনেরা এসে ভোট মাগে
আরেকটি নির্বাচনের ইশারায়—অনুমেয় উষ্ণ হুমকি দিয়ে
টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে
চারিদিকে র্যাশনের ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা ;
নেতা তার আরামের সঙ্ঘারামে নেশা করে বুকনি ঝাড়তে ভালোবাসে।
চারিদিকে র্যাশনের ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা ;
নেতা তার আরামের সঙ্ঘারামে নেশা করে বুকনি ঝাড়তে ভালোবাসে।
শ্রম ঘাম রক্ত চুষে আড্ডায় ফিরে যায় নেতা
অবরোধ-করা মোড়ে অ্যামবুলেন্সে কান্না দেখিয়াছি।
অবরোধ-করা মোড়ে অ্যামবুলেন্সে কান্না দেখিয়াছি।
কাঠফাটা খরা নয়—যেন কোনো চালের ভাঁড়ার
অধিকার করে আছে ইহাদের ভাব
দলীয় গুণ্ডাদের হাতে
বধূটি প্রাণপণ লড়িয়াছে
চাঁদ ডুবে গেলে পর নিরন্ন আঁধারে তুমি বউটিকে নিয়ে
ফলিডল খেয়েছিলে, শিশুটির গলা টিপে মেরে
যে-জীবন ফড়িঙের দোয়েলের
তা তোমার শৈশব থেকে ছিল জানা।
অধিকার করে আছে ইহাদের ভাব
দলীয় গুণ্ডাদের হাতে
বধূটি প্রাণপণ লড়িয়াছে
চাঁদ ডুবে গেলে পর নিরন্ন আঁধারে তুমি বউটিকে নিয়ে
ফলিডল খেয়েছিলে, শিশুটির গলা টিপে মেরে
যে-জীবন ফড়িঙের দোয়েলের
তা তোমার শৈশব থেকে ছিল জানা।
পেটের ক্ষুধার ডাক
করেনি কি প্রতিবাদ? ডেঙ্গুর মশা এসে রুক্ষ চামড়ায় বসে
রক্ত না পেয়ে দেয়নি কি গালাগাল?
জোয়ান লক্ষ্মীপেঁচা চালাঘরে বসে
বলেনি কি : ‘সংসার গেছে বুঝি দারিদ্র্যে ভেসে?
চমৎকার!
হাড়গিলেদের ঘরে ইঁদুরও আসে না ?’
জানায়নি পেঁচা এসে এ তুমুল ক্ষুব্ধ সমাচার ?
করেনি কি প্রতিবাদ? ডেঙ্গুর মশা এসে রুক্ষ চামড়ায় বসে
রক্ত না পেয়ে দেয়নি কি গালাগাল?
জোয়ান লক্ষ্মীপেঁচা চালাঘরে বসে
বলেনি কি : ‘সংসার গেছে বুঝি দারিদ্র্যে ভেসে?
চমৎকার!
হাড়গিলেদের ঘরে ইঁদুরও আসে না ?’
জানায়নি পেঁচা এসে এ তুমুল ক্ষুব্ধ সমাচার ?
জীবনের এই স্বাদ—সুপক্ক ধানের ঘ্রাণ
কতোকাল পাওনিকো তুমি
মর্গে আজ হৃদয় জুড়োলো
মর্গে—শীতাতপে, তিনজন
ফলিডলে গ্যাঁজলা-ওঠা ঠোঁটে!
কতোকাল পাওনিকো তুমি
মর্গে আজ হৃদয় জুড়োলো
মর্গে—শীতাতপে, তিনজন
ফলিডলে গ্যাঁজলা-ওঠা ঠোঁটে!
শোনো এ তিন মৃতের গল্প—ফিবছর ধান
কেটে নিয়ে চলে গেছে গাজোয়ারি করে
বি পি এল কার্ডের সাধ
মেটেনি বউকে পাঠিয়েও
দরবারি নাশকতা নিচে টেনে বধূ
মধু – আর মননের মধু
যাপনকে করতে পারেনি ক্ষুধাহীন
হাড়হাভাতের গ্লানি বেদনার শীতে
সইতে হয়েছে প্রতিদিন;
তাই
লাশকাটা ঘরে
তিনজন শুয়ে আছে টেবিলের পরে।
কেটে নিয়ে চলে গেছে গাজোয়ারি করে
বি পি এল কার্ডের সাধ
মেটেনি বউকে পাঠিয়েও
দরবারি নাশকতা নিচে টেনে বধূ
মধু – আর মননের মধু
যাপনকে করতে পারেনি ক্ষুধাহীন
হাড়হাভাতের গ্লানি বেদনার শীতে
সইতে হয়েছে প্রতিদিন;
তাই
লাশকাটা ঘরে
তিনজন শুয়ে আছে টেবিলের পরে।
তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,
জোয়ান লক্ষ্মীপেঁচা চালাঘরে বসে
চোখ পালটায়ে কয়, ‘সংসার গেছে বুঝি দারিদ্র্যে ভেসে?
চমৎকার!
হাঘরের মেটে ঘরে ইঁদুরও আসে না।’
জোয়ান লক্ষ্মীপেঁচা চালাঘরে বসে
চোখ পালটায়ে কয়, ‘সংসার গেছে বুঝি দারিদ্র্যে ভেসে?
চমৎকার!
হাঘরের মেটে ঘরে ইঁদুরও আসে না।’
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজও চমৎকার?
স্বাধীনতার সত্তর বছর পর!
সকলে তোমার মতো সুযোগ সন্ধানী আজ—বুড়ি চাঁদটাকে ওরা
আদিগঙ্গার পাকে করে দিলে পার;
যারা আসে তারাই শূন্য করে চলে যায় টাকার ভাঁড়ার।
স্বাধীনতার সত্তর বছর পর!
সকলে তোমার মতো সুযোগ সন্ধানী আজ—বুড়ি চাঁদটাকে ওরা
আদিগঙ্গার পাকে করে দিলে পার;
যারা আসে তারাই শূন্য করে চলে যায় টাকার ভাঁড়ার।
- Puns and Playing/ IRONY and SATIRE – Estrangement : ভাষা এবং আইডিয়ার আহ্লাদ/থ্রিল যোগান শ্রেষ (Puns), বিদ্রুপ (Parody) বা ব্যঙ্গের (Humour) মধ্য দিয়ে লীলা খেলে পাঠককে শিকড়হীন করা (Alienate) । পাঠককে ছাঁচে ফেলা থেকে বিরত রাখতে উদ্ভটত্ব বাড়ানো হয় পরিহাস, বিদ্রূপ ও কৌতুকপূর্ণ শব্দ লীলায় ।
- Pluralism/Indeterminacy – Lack of Closure (BROTHERLY LOVE & UNITY IN DIVERSITY : শব্দকে কেন্দ্র থেকে প্রান্তিকতায় পৌঁছে দেয় এবং জ্ঞান ও যুক্তির এলাকা থেকে মুক্ত করে বহুরৈখিক অর্থের (meaning) দিকে চালিত করে লোকায়াত সংস্কৃতির বহুত্বকে স্বীকৃতি জানায়। আধুনিকতার নির্ণয়তাকে (determinacy/ Single direcetion)/ দিশাকে – যেমন বৃক্ষের থাকে দিশা, অতিক্রম করে অনির্ণেয়তার (Indeterminacy)/বিদিশায় – যেমন ঘাসের থাকে বিদিশা (Multidirection), দিকে যাত্রা। জীবনানন্দের ‘কমলালেবু’ কবিতায় যেমন ‘আমি’ হল বহুর স্বরূপ, সীমানা বর্জিত, যৌগ, পরিবর্তনশীল, সংজ্ঞায়নের অতীত :
একবার যখন দেহ থেকে বার হয়ে যাব
আবার কি ফিরে আসব না আমি পৃথিবীতে?
আবার যেন ফিরে আসি
কোনো এক শীতের রাতে
একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে
কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষু’র বিছানার কিনারে।
অধুনান্তিক কবি এমন গঠনে কবিতা রচনা করতে চান যাতে সম্ভাবনা, পছন্দ আর
নির্বাচনের দুয়ার উন্মুক্ত থাকে। শব্দ/নিঃশব্দের বদ্ধ রূপক-অলঙ্কার ছিঁড়ে
পূর্ব-নির্ধারিত বা রীতিসিদ্ধ পদ্ধতি পরিহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক বুননের
ক্রমসম্প্রসারণের জায়গাগুলো তৈরি করেন, যেহেতু এই মহাবিশ্ব
ক্রমসম্প্রসারণশীল।আবার কি ফিরে আসব না আমি পৃথিবীতে?
আবার যেন ফিরে আসি
কোনো এক শীতের রাতে
একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে
কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষু’র বিছানার কিনারে।
- Metonymy (লক্ষণালঙ্কার) : ‘অক্সি মোরন’ (বিরোধাভাস), ‘সাইনেক ডোকি’ (প্রতিরূপক) এবং স্ল্যাঙালঙ্কারের ব্যবহার। দেশ পত্রিকার ২৬.১২.১৯৯৮ইং সংখ্যায় ক্লিনটন বি সীলি তাঁর ‘রৌদ্রের অন্ধকার-এ দাঁড়িয়ে’ নিবন্ধে জীবনানন্দের অত্যধিক অক্সিমোরন বা বিরোধাভাসমূলক শব্দবন্ধের প্রয়োগের কথা বলেছেন; সাতটি তারার তিমির, সূর্যতামসিক, অনন্ত রৌদ্রের অন্ধকার, অফুরন্ত রৌদ্রের তিমির, উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খলা, সৎ অন্ধকার নিষ্ক্রমণ, সচ্ছল কঙ্কাল ইত্যাদি। শ্যামাপদ চক্রবর্তী প্রণীত ‘অলঙ্কারচন্দ্রিকা’ গ্রন্থটি থেকে জানা যায় যে, বাংলায় ‘সাইনেক ডোকি’ বা প্রতিরূপকের প্রচলন থাকলেও, অক্সিমোরন বা বিরোধাভাসমূক শব্দবন্ধের প্রচলন জীবনানন্দের আগে ছিল না। হাংরি আন্দোলনের পরের প্রজন্মগুলোয় গালাগাল, খিস্তি, স্ল্যাং নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে লেখালিখিতে, পড়তে আক্রমণাত্মক লাগলেও, সেগুলো স্রেফ নব্যালঙ্কার হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে :
১.
ট্যাকা কি গাছের গুডা?
নাকি গাঙের জলে ভাইসা আইছে?
এই খানকি মাগীর ঝি,
একটা টাকা কামাই করতে গিয়া
আমার গুয়া দিয়া দম আয়ে আর যায়।
নাকি গাঙের জলে ভাইসা আইছে?
এই খানকি মাগীর ঝি,
একটা টাকা কামাই করতে গিয়া
আমার গুয়া দিয়া দম আয়ে আর যায়।
(লিপিস্টিক, নির্মলেন্দু গুণ)
২.
রাইত অইলে অমুক ভবনে বেশ আনাগোনা
আমিও গ্রামের পোলা চুতমারানি গাইল দিতে জানি
রাইত অইলে অমুক ভবনে বেশ আনাগোনা
আমিও গ্রামের পোলা চুতমারানি গাইল দিতে জানি
(যার যেখানে জায়গা, হেলাল হাফিজ)
- Interlocking and Serial form : কবিতায় অজস্র অনুস্তর (মাইক্রোলেভেল) ভাবনার ইন্টারলকিং বা অন্তর্বয়ন থাকে যেখানে পঙক্তিগুলো ঘাসের মতন একে আরেকের মধ্যে নানা রঙের সুতোর মতো বোনা, গাছের ডালের মতন ইন্টারলিংকড বা আত্মসংলগ্ন নয়। জীবনানন্দের কবিতার মাঝখান থেকে একটা-দুটো লাইন সরিয়ে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু আধুনিক কবিতার ইন্টারলিংকড বা আত্মসংলগ্ন পঙক্তির বেলায় তা করতে গেলে পুরো কবিতাটাই ধসে পড়বে, কেননা সাধারণতঃ তা একটি ম্যাক্রোলেভেল বা নিখিলস্তর ভাবনার সাহায্যে গড়ে ওঠে। প্রতিটি অনু-আকার (মাইক্রোফর্ম) অনুশাসন, প্রণালী, মানক, অনুষঙ্গ যে কোন অভিঘাতে কম ব্যাহত হয়। হয় বলে, সেগুলো বাঁধনহীন আন্তঃসম্পর্ক গড়তে পারে। তা নিখিল-আকার (ম্যাক্রোফর্ম) থেকে সেহেতু উৎকৃষ্ট।
মানবিক চিন্তন-ক্রিয়ায় ‘অহং – উপস্থিতি’ থাকার কারণে মানুষ সবসময় তার পছন্দমতো একটি কেন্দ্র বা centre নির্ধারণ করেই চিন্তা-ক্ষেত্রে এগুতে চায়। একজন মানুষ যখন তার জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কিছু চিন্তা করে, ঠিক তখনই তার চিন্তার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থান নেয় ‘আমি’ এবং ‘আমি কেন্দ্রিক’ কিছু ধারণা বা centre, যাকে কোনো অবস্থাতেই অহং- অস্তিত্বের বাইরে রাখা সম্ভব নয়
মহাকাব্য নয়, অধুনান্তিক কবি লিখছেন সিরিয়াল ফর্মে সিরিজ কবিতা। সিরিজ কবিতা পাঁচ মিশালী মাল মশলায় তৈরী, কোনো সমগ্র নয় আবার একক কবিতাও না; বলা যেতে পারে এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, পাঠক যে কোনো ফ্ল্যাটেই ইচ্ছে করলে প্রবেশ করতে পারে।
[The serial form in poetry is one of those works, as Barthes puts it, whose fabrication, by arrangement of discontinuous and mobile elements or their resistance to a determinate order:
- The series does not aspire to the encompassment of the epic; nor does it allow for the reduction of its materials to the isolated perfection of the single lyric. The series demands neither summation nor exclusion. It is instead a combinative form whose arrangements admit a variegated set of materials.
- The series is an open form in large part because it does not require the mechanic imposition of an external organization. It is not, however, an organic form.
- In a series the reader is encouraged to select any of these passages as an entrance.]
- Fragile Images / Kinetic Images : কবিতার চিত্রকল্প হয়ে গেছে ভঙ্গুর। তার কারণ বাস্তবজগৎ থেকে প্রতিমায় ঠাসা সংকেত অত্যন্ত দ্রুত বেগে একের পর এক এসে আছড়ে পড়ছে কবির পঞ্চ ইন্দ্রিয়ে। প্রতিমা বহনে সক্ষম উদ্দীপকগুলোকে ঘন ঘন সক্রিয় হয়ে উঠতে হচ্ছে। মডার্ন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের রচনার সঙ্গে পোস্টমডার্ন কবি উৎপলকুমার বসুর পাঠকৃতি তুলনা করলেই টের পাওয়া যাবে ব্যাপারটা। সমাজ যেমন-যেমন ছড়িয়েছে, তেমন-তেমন বেড়েছে কোডেড সংকেত সংখ্যা, আকৃতি, প্রকৃতি, চরিত্র, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ক্ষমতা। এতো বেশি সংখ্যায় আসছে কোডগুলো যে অনেক সময় তা ভাসিয়ে দিচ্ছে অভিব্যক্তির কূল-কিনারা। বিপুল বার্তা বিস্ফোরণের চাপ সামলে পোস্টমডার্ন কবিকে নিজের মস্তিষ্কে নথিভুক্ত করতে হচ্ছে হাজার হাজার কোড। মানুষ কতোটা নিতে পারে তা বৈজ্ঞানিকদের এখনও জানা নেই। পোস্টমডার্ন কবিতাকে নিতে হচ্ছে। ফলত ভঙ্গুর হয়ে উঠছে পোস্টমডার্ন কবিতার চিত্রকল্প। এই চিত্রকল্প, যা মডার্ন কবিতার চিত্রকল্প থেকে একেবারেই আলাদা, তাকে বলা হচ্ছে ‘দি কাইনিটিক ইমেজ’। তার কারণ মডার্ন কালখন্ডটির তুলনায় আমাদের উত্তর ঔপনিবেশিক কালখন্ডে সমগ্র জ্ঞানজগতে চলছে ভয়ঙ্কর উত্থালপাতাল। যে প্রতিবর্তী ক্রিয়া ও সংকেত-ভাঁড়ের সাহায্যে কবি চিন্তা করেন, তাতে এক-একটি তথ্য বেশিদিন ধরে রাখা আর সম্ভব না।
- Nihilistic & Existential : অস্তিত্ববাদী বা শুন্যবাদী বিষয় থাকবে কবিতায়। যদিও পোস্টমডার্নিজম ও অস্তিত্ববাদ সমার্থক নয়, তবু তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। এই ধরনের কবিতা ধারণা দেয় যে, জগৎ ও জীবন অর্থহীন অথবা মানুষ যে উদ্দেশ্য বা অর্থ আরোপ করে জগৎ জীবনের প্রতি তা বর্জন করে। মূলতঃ এটা করা হয় পাঠককে বিষন্ন করতে নয়, বরং তার স্বস্তির কেন্দ্রকে নড়িয়ে দিতে এবং জগৎকে নতুনভাবে বিবেচনা করতে।
- Deconstruction : বিনির্মাণ কোনো ‘টেক্সট’ যদি পেঁয়াজ হয় তবে তার প্রতিটি স্তর তুলে দেখার প্রক্রিয়া। সচেতন এই প্রক্রিয়াটি করা হয় কোনো ‘টেক্সটের’ প্রতিটি কোণার তথ্য তল্লাশি করে উদ্ধার এবং আলাদা করার জন্য, ফুকো উদ্ধারকৃত তথ্য ভান্ডারকে বলেছেন ‘Episteme’. সনাতন ভারতীয় দর্শনেও শব্দের অর্থকে বলা হয়েছে ‘contextual’.
মানবিক চিন্তন-ক্রিয়ায় ‘অহং – উপস্থিতি’
থাকার কারণে মানুষ সবসময় তার পছন্দমতো একটি কেন্দ্র বা centre নির্ধারণ
করেই চিন্তা-ক্ষেত্রে এগুতে চায়। একজন মানুষ যখন তার জীবন ও জগৎ সম্পর্কে
কিছু চিন্তা করে, ঠিক তখনই তার চিন্তার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থান নেয় ‘আমি’
এবং ‘আমি কেন্দ্রিক’ কিছু ধারণা বা centre, যাকে কোনো অবস্থাতেই অহং-
অস্তিত্বের বাইরে রাখা সম্ভব নয়। আসলে মানবিক চেতনা-কাঠামো সবসময়
অহংকেন্দ্রিক বিভিন্ন যুগ্ম-বৈপরীত্য বা binary opposition-কে কেন্দ্র করেই
তার অনুভূতি ধারণার বৃত্ত রচনা করতে চায় । ভালো/মন্দ, দেহ/মন,
সত্য/মিথ্যা, ঈশ্বর/মানব, ঈশ্বর/শয়তান, মানুষ/পশু, শুরু/শেষ ইত্যাদির মতো
অহংকেন্দ্রিক যুগ্ম-বৈপরীত্যসমূহকে বাদ দিয়ে কিছু চিন্তা করতে গেলে, অহং
নিজেই ‘অস্তিত্ব/অনস্তিত্ব’ যুগ্ম-বৈপরীত্য নিয়ে হয়ে উঠে অস্তিত্বের প্রধান
কেন্দ্র বা পরম সত্তা। অহংসহ যে-কোনো সত্তার চরম ও পরম অস্তিত্ব শুধুমাত্র
উচ্চারিত শব্দেই পাওয়া সম্ভব, মানুষের সহজাত এই ধারণার ওপর নির্ভর
উচ্চারিত মৌখিক ভাষা সবসময় লিখিত ভাষার ওপর প্রাধান্য পেয়েছে। ‘মৌখিক
ভাষা/লিখিত ভাষা’ – এই যুগ্ম-বৈপরীত্যের শ্রেণীমর্যাদা বা hierarchy
নির্ধারণ করলে মুখের ভাষার স্থান প্রাধান্য পেয়ে অহং-অস্তিত্বের খুব
কাছাকাছি অবস্থান করে। ফলে logocentric বা স্বনকেন্দ্রিক চিন্তার মাঝে
phonocentricism বা ধ্বনিকেন্দ্রিকতাই হয়ে ওঠে মুখ্য। ধ্বনিকেন্দ্রিকতার
ওপর প্রাধান্য দেওয়ায়, যে কোন রকম লিখিত ভাষা দূষিত বলে গণ্য হতে পারে,
কারণ মৌখিক ভাষার অবস্থান থাকে মানবিক চিন্তার খুব কাছাকাছি।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনন্যসাধারণ সৃষ্টি
‘মেঘনাদবধ কাব্য’ এ বিনির্মাণের উদাহরণ হিসেবে খুবই উল্লেখযোগ্য। মেঘনাদবধ
কাব্য রামায়ণের কিছু অংশকে কেন্দ্র করে লেখা, যেখানে ধ্রুপদী বিশ্বাসের
অন্তর্গত ‘রাম/রাবন’ যুগ্ম-বৈপরীত্যের বিনির্মাণ করা হয়েছে নতুনভাবে।
বিনির্মাণতত্ত্বের উদাহরণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ক্ষুদে কাব্যনাটক
‘গান্ধারীর আবেদন’- কে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। ‘গান্ধারীর আবেদন’
কাব্যনাট্যে ’মহাভারতের’ খন্ডাংশকে বিনির্মাণ করা হয়েছে সুখ/দুঃখ,
জয়/পরাজয়, হিংসা/অহিংসা, ধর্ম/অধর্ম, প্রশংসা/নিন্দা, ঔদার্য্য/হীনতা
ইত্যাদির মতো মানবিক গুণাবলী কেন্দ্রিক যুগ্ম-বৈপরীত্যের শ্রেণী-মর্যাদার
উগ্র বিচ্যুতি ঘটিয়ে। কাজী নজরুল ইসলাম তার বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতায়
ঈশ্বর/মানুষ এই যুগ্ম-বৈপরীত্যকে প্রচন্ডভাবে বিনির্মাণ করেছেন, যেখানে
‘আমি’র অস্তিত্ব/অনস্তিত্বের পাশাপাশি ঈশ্বরের অস্তিত্ব/অনস্তিত্বও
ছায়ারূপে অবস্থান নেয়।
দেরিদার বিনির্মাণ দর্শন অনুযায়ী যে-কোনো
সাহিত্য কর্মের ব্যাখ্যা অসীমের দিকে প্রবাহিত, যাকে text-এর free play বা
মুক্ত ক্রীড়া বলে আখ্যায়িত করা হয় । দেরিদার deconstruction-এ বিশ্বাসী
আমেরিকান ডিকন্সট্রাকশনিস্ট পল দ্য মান, হেডেন হোয়াইট, হ্যারল্ড ব্লুম
প্রমুখ সাহিত্যে বিনির্মাণের কথা উল্লেখ করেছেন যা Theory of trope বা
গূঢ়োক্তিতত্ত্ব দ্বারা বিশ্লেষণযোগ্য এবং এ ধরনের বিনির্মাণে ব্যাজস্তুতি
(irony), আংশিক উপস্থাপন (synecdoche), লক্ষণালঙ্কার (metonymy),
অতিশয়োক্তি (hyperbole), রূপকালঙ্কার (metaphor) এবং রূপান্তর (metalepsis)
কাজ করে। বিনির্মাণের মূল উদ্দেশ্য হল কোনো হল কোনো এক বিশেষ কেন্দ্র বা
centre সৃষ্টিকারী অর্থ বা Meaning এর উপস্থিতিকে (Presence) শব্দের পেছন
থেকে সরিয়ে অধিবিদ্যার অবসান ঘটানো। অধিতাত্ত্বিক উপাদানকে বিনির্মাণের
একমাত্র উপায় হল গভীর ও তীব্র মনোযোগ সহকারে পাঠ এবং পাঠের সময় আমাদের মনে
রাখা উচিত দেরিদার সেই বিখ্যাত বাক্যটি ‘ There is nothing outside text’.
বাংলাদেশের সমকালীন সাহিত্যেও আমরা
বিনির্মাণের উপাদনা খুঁজে পাব। জসীমউদ্দীনের কাব্য/কাব্যদর্শনের বিনির্মিত
উপাদান পাওয়া যাবে আল মাহমুদে, আবার আল মাহমুদের কাব্যের বির্নিমিত উপাদান
চিহ্নিত করা যাবে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কাব্যে কিংবা আশি ও নব্বই
দশকের কোনো কোনো কবির কবিতায় । শামসুর রাহমানের বিখ্যাত কবিতা ‘ স্বাধীনতা
তুমি’ রজার ম্যাকগাফের ‘ What you are’ নামক কবিতার বির্নিমিত প্রতিরূপ।
আড্রিয়ান হেনরির ‘Without you’ শিরোনামের কবিতার বিনির্মিত রূপ আমরা পাই
শামসুর রাহমান, রফিক আজাদ ও নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় । ভাষার
মুক্তক্রীড়াকেন্দ্রিক এ ধরনের বির্নির্মাণ অযৌক্তিক নয় যদি তা চৌর্যমূলক
অনুকৃতি না হয় ।
[Deconstruction Techniques :
Step 1 – Select a work to be
deconstructed. This a called a “text” and is generally a piece of text,
though it need not be. It is very much within the lit crit mainstream to
take something which is not text and call it a text. In fact, this can
be a very useful thing to do, since it leaves the critic with broad
discretion to define what it means to “read” it and thus a great deal of
flexibility in interpretation. It also allows the literary critic to
extend his reach beyond mere literature. However, the choice of text is
actually one of the less important decisions you will need to make,
since points are awarded on the basis of style and wit rather than
substance, although more challenging works are valued for their greater
potential for exercising cleverness. Thus you want to pick your text
with an eye to the opportunities it will give you to be clever and
convoluted, rather than whether the text has anything important to say
or there is anything important to say about it.
Step 2 – Decide what the text says. This
can be whatever you want, although of course in the case of a text
which actually consists of text it is easier if you pick something that
it really does say. This is called “reading”.
Step 3 – Identify within the reading a
distinction of some sort. This can be either something which is
described or referred to by the text directly or it can be inferred from
the presumed cultural context of a hypothetical reader. It is a
convention of the genre to choose a duality, such as man/woman,
good/evil, earth/sky, chocolate/vanilla, etc. In the case of our
example, the obvious duality to pick is homosexual/heterosexual, though a
really clever person might be able to find something else.
Step 4 – Convert your chosen distinction
into a “hierarchical opposition” by asserting that the text claims or
presumes a particular primacy, superiority, privilege or importance to
one side or the other of the distinction. Since it’s pretty much
arbitrary, you don’t have to give a justification for this assertion
unless you feel like it. Programmers and computer scientists may find
the concept of a hierarchy consisting of only two elements to be a bit
odd, but this appears to be an established tradition in literary
criticism. Continuing our example, we can claim homophobia on the part
of the society in which this sentence was uttered and therefor assert
that it presumes superiority of heterosexuality over homosexuality.
Step 5 – Derive another reading of the
text, one in which it is interpreted as referring to itself. In
particular, find a way to read it as a statement which contradicts or
undermines either the original reading or the ordering of the
hierarchical opposition (which amounts to the same thing). This is
really the tricky part and is the key to the whole exercise. Pulling
this off successfully may require a variety of techniques, though you
get more style points for some techniques than for others. Fortunately,
you have a wide range of intellectual tools at your disposal, which the
rules allow you to use in literary criticism even though they would be
frowned upon in engineering or the sciences. These include appeals to
authority (you can even cite obscure authorities that nobody has heard
of), reasoning from etymology, reasoning from puns, and a variety of
word other games. ]
- Technoculture and hyperreality : সব বার্তা, চিত্র আর চিহ্ন যেহেতু মিডিয়ার মধ্যস্থতায় নির্মিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়ে কোডেড প্রক্রিয়ায় আমাদের কাছে পৌঁছায় কাছেই সমস্ত চিহ্নই এখন বিনিময় হয় শুধু চিহ্নের সাথেই যেখানে বাস্তবতা অনুপস্থিত যাকে বলা যায় ‘অতি-পরাবাস্তব‘ (Hyperial)। প্রযুক্তির সোনার খাঁচায় বন্দি কবি তাই বাস্তবতার কবিতা আর লিখছেন না, চিহ্নের প্রতিমূর্তি (Simulacrum) চিহ্নই উৎপাদন করে পাঠককে জানান দেয় বাস্তবতার অনুপস্থিতি। ইতিহাস আর সরলরৈখিক নয়, আর ইতিহাস নামে এতদিন যা বুঝাতো তার সব হয়ে গেছে ‘Live Show`, হাই টেক সময় বাস্তবতায় রুচি ও মনন তৈরী করছে ক্ষমতার কেন্দ্র। কবিতায় কেবল তাই চিহ্নের সাথে চিহ্ন বদল চলছে।
Fredric Jameson called postmodernism the
“cultural logic of late capitalism”. “Late capitalism” implies that
society has moved past the industrial age and into the information age.
Likewise, Jean Baudrillard claimed postmodernity was defined by a shift
into hyperreality in which simulations have replaced the real. In
postmodernity people are inundated with information, technology has
become a central focus in many lives, and our understanding of the real
is mediated by simulations of the real.
Hyperreality is the result of the
technological mediation of experience, where what passes for reality is a
network of images and signs without an external referent, such that
what is represented is representation itself. The real has become an
operational effect of symbolic processes, just as images are
technologically generated and coded before we actually perceive them.
“From now on, ” says Baudrillard, ” signs are exchanged against each
other rather than against the real”, so production now means signs
producing other signs. The system of symbolic exchange is therefore no
longer real but “hyperreal”.
- Diaspora : আমাদের খুব কাছের সময়ে আর এক ধরনের দেশত্যাগী সাহিত্য তৈরি হচ্ছে যাকে অনেক সময় কমনওয়েলথ বা দক্ষিণ এশীয় বা বহির্বঙ্গীয় সাহিত্যও বলা হয়ে থাকে। এই কবিতাগুলো এক ধরনের বাংলাভূমি-ত্যাগী সাহিত্য, যেহেতু এই কবিতাগুলি পূর্ব-বাসভূমির স্মৃতি বা সেই স্মৃতিকে বর্তমান ধরে নিয়ে বিবৃত। একটু বেশি পেছনে তাকিয়ে দেখলে এঁদের লেখার গোত্র সেই পশ্চিমি ডায়াস্পোরিক সাহিত্য বা অনেকটাই লালিত হয়েছিল সাম্রাজ্যের সাহিত্যের অনুপূরক হিসেবে। বাংলা ভাষায় প্রবাসী কবিরাও এখন লিখছেন ডায়স্পরা কবিতা।
No comments:
Post a Comment