সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর ঈর্ষা : "মলয় ইচ্ছে করেই আমার আমেরিকা-বাসের সময়টা বেছে নিয়েছিল"
বাসব রায়কে দেয়া সাক্ষাৎকারে, গৌহাটির
'যুগশঙ্খ' পত্রিকায় ২০০৬ সালে প্রকাশিত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, "মলয়
ইচ্ছে করেই আমার আমেরিকা-বাসের সময়টা বেছে নিয়েছিল ।" মলয় রায়চৌধুরী
সেসময়ে একজন অচেনা প্রবাসী যুবক ছিলেন এবং দাদা সমীর রায়চৌধুরীর সঙ্গে
পরামর্শ করে হাংরি আন্দোলন আরম্ভ করতে চাইছিলেন ।
পরবর্তীকালে হাংরি আন্দোলনের খ্যাতি বা কুখ্যাতি যেভাবে সারা ইউরোপ আমেরিকায় সাড়া ফেলেছিল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হাংরি আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে গেছেন । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দুটি কারণে হাংরি আন্দোলনের পপতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন । প্রথম, তিনি মনে করতেন তাঁর 'কৃত্তিবাস' গোষ্ঠীকে ভেঙে ফেলার জন্য হাংরি আন্দোলন আরম্ভ করা হয়েছে, এবং যেহেতু তিনি কলকাতায় নেই, মলয় রায়চৌধুরী সেই সুযোগটি নিয়েছেন । দ্বিতীয়, তিনি মনে করতেন, বাংলা সাহিত্যে কোনো আন্দোলন হলে তার নেতৃত্ব থাকা উচিত তাঁর নিয়ন্ত্রণে ; মলয় রায়চৌধুরী নেতৃত্ব শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের হাতে দিয়ে ভুল করেছেন কেননা নেতৃত্ব দেবার মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা ও যোগাযোগ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নেই ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কৃত্তিবাস পত্রিকায় হাংরি আন্দোলনের বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন । হাংরি আন্দোলনকে ভেঙে দেবার হুমকি দিয়ে আমেরিকা থেকে মলয় রায়চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছিলেন । সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে আমেরিকা থেকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন হাংরি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে যেতে ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যদি হাংরি আন্দোলনের সাহিত্যের বিরোধী থাকতেন তাহলে বাসব রায়কে বলতেন না যে, "মলয় ইচ্ছে করেই আমার আমেরিকা-বাসের সময়টা বেছে নিয়েছিল।"
পরবর্তীকালে হাংরি আন্দোলনের খ্যাতি বা কুখ্যাতি যেভাবে সারা ইউরোপ আমেরিকায় সাড়া ফেলেছিল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হাংরি আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে গেছেন । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দুটি কারণে হাংরি আন্দোলনের পপতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন । প্রথম, তিনি মনে করতেন তাঁর 'কৃত্তিবাস' গোষ্ঠীকে ভেঙে ফেলার জন্য হাংরি আন্দোলন আরম্ভ করা হয়েছে, এবং যেহেতু তিনি কলকাতায় নেই, মলয় রায়চৌধুরী সেই সুযোগটি নিয়েছেন । দ্বিতীয়, তিনি মনে করতেন, বাংলা সাহিত্যে কোনো আন্দোলন হলে তার নেতৃত্ব থাকা উচিত তাঁর নিয়ন্ত্রণে ; মলয় রায়চৌধুরী নেতৃত্ব শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের হাতে দিয়ে ভুল করেছেন কেননা নেতৃত্ব দেবার মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা ও যোগাযোগ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নেই ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কৃত্তিবাস পত্রিকায় হাংরি আন্দোলনের বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন । হাংরি আন্দোলনকে ভেঙে দেবার হুমকি দিয়ে আমেরিকা থেকে মলয় রায়চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছিলেন । সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে আমেরিকা থেকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন হাংরি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে যেতে ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যদি হাংরি আন্দোলনের সাহিত্যের বিরোধী থাকতেন তাহলে বাসব রায়কে বলতেন না যে, "মলয় ইচ্ছে করেই আমার আমেরিকা-বাসের সময়টা বেছে নিয়েছিল।"
No comments:
Post a Comment